সম্প্রীতির জমিনে শকুনের চোখ

আগের সংবাদ

ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান এখন ‘মেটা’

পরের সংবাদ

চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার : ডাকাতির টাকায় ত্রিশটি সিএনজির মালিক রেজা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কিশোর বয়স থেকেই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন শামীম রেজা (৩০)। গ্রামের একটি স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা শেষ করে ২০০৫ সালে রাজশাহী থেকে ঢাকা আসেন। জীবিকার তাগিদে চাকরি নেন একটি গার্মেন্টসে। মাদক সেবন থেকে জড়িয়ে পড়েন মাদক কারবারে। এক পর্যায়ে রেজা নিজেই ডাকাত চক্র গড়ে তোলেন। পুলিশের ইউনিফর্ম পড়ে নিজেকে এসআই পরিচয় দিয়ে সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় ডাকাতি কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন। ডাকাতির টাকায় ৩০টি সিএনজি কেনার পাশাপাশি গ্রামের বাড়িতে জমিও কিনেছেন রেজা।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক এসব কথা বলেন। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত সাভার থানাধীন রাজাশন এলাকা থেকে চক্রের মূলহোতা রেজাসহ ৬ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন হেলাল উদ্দিন, পারভেজ, ওয়াসিম ইসলাম, নাইম খান ও ফেরদৌস আহমেদ রাজু।
অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি, একটি নকল পিস্তল, একটি পিস্তল টাইপ লাইটার, একটি কভারসহ হ্যান্ডকাফ, একটি ওয়াকিটকি, ২ সেট পুলিশ ইউনিফর্ম, পুলিশ জ্যাকেট, পুলিশ বেল্ট, ভুয়া পুলিশ আইডি কার্ড, ২টি রামদা, একটি ডেগার, একটি চাপাতি, ২টি ছুড়ি, ২টি টর্চলাইট, ২টি রশি এবং নগদ ৪৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে রেজা ৩০টি সিএনজির মালিক। তার নামে অস্ত্র, মাদক ও ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি নিজেকে আমিনুল হক নামে পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র, নকল আগ্নেয়াস্ত্র, নকল আইডি কার্ড, ইউনিফর্ম, ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার করে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি করতেন। সাভার এলাকায় সক্রিয় ডাকাত চক্রের পাশাপাশি ও মাদকের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতেন। রেজাসহ গ্রেপ্তার সবার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এর আগে শামীম প্রতারণা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছে।
পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি ও পুলিশের ইউনিফর্ম সংগ্রহ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব-৪ সিও বলেন, সুনির্দিষ্ট পরিচয় ছাড়া পুলিশের পোশাক বিক্রির সুযোগ নেই। এরপরেও সে কোনো ফাঁকে পুলিশের পোশাক সংগ্রহ করেছে। এসআই পরিচয়ে পুলিশের পোশাক পড়ে ডাকাতির ঘটনায় শামীম পুলিশের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। পুলিশের পোশাক সংগ্রহের ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনী বা অন্য কারো যোগসাজশ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়