দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন : বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত ৮১ জন চেয়ারম্যান

আগের সংবাদ

সম্প্রীতির জমিনে শকুনের চোখ

পরের সংবাদ

জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে বিপিসির প্রস্তাব

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ে মৌখিক প্রস্তাব দিয়েছে। সরকার নির্ধারিত আগের দামে ডিজেল বিক্রি করতে গিয়ে বিপিসিকে প্রতি লিটারে ১৩ থেকে ১৪ টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে। এই লোকসানের হার কমাতে বিপিসি জ¦ালানি মন্ত্রণালয়ের কাছে ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, করোনার পর বিশ্ব অর্থনীতি গতি ফিরে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম হু হু করে বাড়ছে। প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৮৩ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে দাম। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ার ফলে বিপিসিকেও চড়া লোকসান দিয়ে জ¦ালানি তেল বিক্রি করতে হচ্ছে। এই অবস্থায় লোকসান কমাতে কয়েক মাস আগে বিপিসি ডিজেলের দাম বাড়াতে জ¦ালানি মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। ২০১৬ সালে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ৬৫ টাকা করা হয়। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ব্যারেল প্রতি ৪০ থেকে ৫০ ডলারের আশপাশে। এখন দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
বিপিসির পরিচালক (অপারেশন্স ও পরিকল্পনা) সৈয়দ মেহেদী হাসান জানান, তিন মাস আগে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৭০ ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপিসিকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। এখন প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৮৩ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিন ডিজেল ও ফার্নেস তেল বিপণনে বিপিসির ২০ থেকে ২২ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। তেলের দাম আরো বাড়লে লোকসানের পরিমাণও বাড়বে। তাই লোকসান কিছুটা কমিয়ে আনার জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ‘মৌখিকভাবে’ প্রস্তাব করা হয়েছে। এখন দেশের খুচরা বাজারে প্রতি লিটার ডিজেল ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটারে ১৩ থেকে ১৪ টাকা লোকসান হচ্ছে। আগে পেট্রোল ও অকটেন বিপণনে বিপিসির মুনাফা থাকলেও এখন লোকসান হচ্ছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ডিজেলের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, সারাবিশ্বে জ¦ালানি তেলের দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এর দাম সমন্বয় করতে হবে। এখনকার দামের কারণে আমাদের বিশাল লোকসান হচ্ছে।
দাম বাড়ানোর যুক্তি তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতে দুবার জ¦ালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের দামের তারতম্য থাকলে জ¦ালানি তেল সীমান্তপথে চোরাচালানের সম্ভাবনা থাকবে। এ কারণেই দাম সমন্বয় করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
বিপিসি সূত্র জানায়, দেশের চাহিদা পূরণে প্রতিবছর ৪০ লাখ টন ডিজেল আমদানি করতে হয়। অকটেন আমদানি করা হয় ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টন। প্রায় সমপরিমাণ পেট্রোল দেশীয় উৎস থেকে উৎপাদন করা হয়। বাংলাদেশে ৭৩ শতাংশের বেশি ডিজেল ব্যবহার করা হয়। সড়ক ও নৌপরিবহন, কৃষির সেচ পাম্প এবং বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ নানা ক্ষেত্রে ডিজেলের ব্যবহার রয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিপিসি ৫৫ লাখ ৩ হাজার টন জ্বালানি তেল বিক্রি করেছে। এর মধ্যে ডিজেলের পরিমাণ ৪০ লাখ ২৩ হাজার টন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়