পাসপোর্ট জটিলতায় আটকে আছেন অর্ধলাখ প্রবাসী

আগের সংবাদ

পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ বাড়ছে

পরের সংবাদ

বাই পাস : ঢাকার পতন

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পরাধীন ব্রিটিশ-ভারত থেকে পাকিস্তানের কালো অধ্যায় পেরিয়ে জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের। এই মহান অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের মোড় ঘোরানো নানা ঘটনা, যার কারিগর হিসেবে কেউ আখ্যায়িত হয়েছেন নায়কের অভিধায়; কেউবা আবির্ভূত হয়েছেন খলনায়কের চরিত্রে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে সেসব ঘটনা ও তার নায়ক-খলনায়কদের কার কী ভূমিকা, তাই নিয়েই অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গ্রন্থ ‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’। স¤প্রতি ভোরের কাগজ প্রকাশন থেকে বের হয়েছে বইটি। এ বই থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন কিছু অংশ তুলে ধরা হচ্ছে ভোরের কাগজের পাঠকদের জন্য।
ঘটনা দ্রুত এগোতে থাকে। পাকিস্তানি প্রতিরোধের ‘দুর্গ’ এলাকাগুলো বাইপাস করে ভারতীয় সেনাবাহিনী দ্রুত গতিতে ঢাকার দিকে এগোতে থাকে। এই প্রতিরোধগুলো বাইপাস করা সম্ভব হয়েছে গেরিলা বাহিনী ও বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনগণের সক্রিয় সাহায্য ও সহযোগিতায়।
পাকিস্তান কিছু স্থানে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে কিন্তু মুক্তিবাহিনীর সর্বাত্মক হয়রানির ফলে এবং ভারতীয় প্যারাট্রুপারদের আকস্মিক অগ্রযাত্রায় শত্রæদের মনোবল ভেঙে যায়। ঢাকা ও তার আশপাশে অনবরত গোলাবর্ষণ পাকিস্তান ইস্টার্ন কমান্ডকে স্থবির করে তোলে। ফলে যুদ্ধরত পাকিস্তান সৈন্যদের জন্য কোনো নির্দেশ দিতে পারেনি।
১২ ডিসেম্বর যৌথ বাহিনী যখন যুদ্ধ ক্ষেত্রে নিশ্চিত বিজয় লাভের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল তখন পাকিস্তানি প্রতিনিধি জাতিসংঘে কোনো রাজনৈতিক সমাধান ব্যতীত যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দেয়। যা ছিল হাস্যকর ও শ্লেষপূর্ণ।
১২ ডিসেম্বর ভারতের বিদেশমন্ত্রী শরণ সিংহ জাতিসংঘে যে ভাষণ দেবেন তার একটি কপি তার হাতে ছিল। যা বড়জোর ১০ মিনিটেই শেষ করা যায়। বক্তৃতারত অবস্থায় তার নিকট ভারতীয় প্রতিনিধি সমর সেন চিরকুট পাঠালেন যেন বক্তৃতা দীর্ঘ করা হয় এবং সম্ভব হলে আগামীকাল পর্যন্ত তা চালিয়ে যেতে হবে। শরণ সিংহ বুঝতে পারলেন যে, ঢাকার পতন আসন্ন হয়ে উঠেছে। তিনি ওইদিন বক্তৃতা শেষ না করে ঝুলিয়ে রাখেন।
তার পরদিন ঢাকার পতন অনিবার্য হয়ে উঠলে তিনি তার বক্তৃতা শেষ করেন। পাকিস্তানের জুলফিকার আলী ভুট্টো যখন শরণ সিংহের বক্তৃতার পাল্টা জবাব দিতে গেলেন, তখন জানতে পারলেন ঢাকায় পাকিস্তান সামরিক বাহিনী পরাজয় মেনে নিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে। ভুট্টো ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন,

‘এই পরাজয়ের প্রতিশোধ ও পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধারের জন্য তিনি হাজার বছর যুদ্ধ করবেন।’
আগামীকাল প্রকাশিত হবে
‘স্বদেশে ফিরে আসা’
‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’- বইটি পাওয়া যাচ্ছে ভোরের কাগজ প্রকাশনে (ভোরের কাগজ কার্যালয়, ৭০, শহীদ সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা)। এ ছাড়া সংগ্রহ করা যাবে নযড়ৎবৎশধমড়লঢ়ৎড়শধংযধহ.পড়স থেকেও।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়