পাসপোর্ট জটিলতায় আটকে আছেন অর্ধলাখ প্রবাসী

আগের সংবাদ

পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ বাড়ছে

পরের সংবাদ

ফের মাশরাফির কাঠগড়ায় কোচরা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের ক্রিকেটের স্বর্ণযুগের কাণ্ডারি সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি-বিন মুর্তজা। মাঠে তার অবদানের কথা আজও টাইগার সমর্থকদের যে নাড়া দেয়, তা বলে বা লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। এক সময় বল হাতে ক্রিকেট মাঠ দাপিয়ে বেড়াতেন নড়াইল এক্সপ্রেসখ্যাত মাশরাফি। তার পেস বোলিং তোপের সামনে বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের হৃদস্পন্দন বেড়ে যেত। এমন একজন ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টাইগাদের হার কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। এই হারের পর লিটন দাসের দুই ক্যাচ মিস আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন সবাই। কিন্তু দেশসেরা সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি টাইগারদের হারের পেছনে দায় দেখছেন দলের কোচিং স্টাফদেরও।
এর আগে গত মাসের শুরুর দিকে এক বিস্তারিত বার্তায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচিং প্যানেল নিয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। সেই সময় বিদেশি কোচদের চেয়ে দেশিদের দিকেই বেশি প্রাধান্য দেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝামাঝি সময়ে মাশরাফির কাঠগড়ায় ফের জাতীয় দলের বিদেশি কোচিং প্যানেল। এখানেই শেষ নয়। রাসেল ডমিঙ্গোর নেতৃত্বাধীন কোচিং প্যানেল নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মাশরাফি। টিম ম্যানেজম্যান্টকে রিহ্যাব স্টোরের সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে হারের পর নিজের বিশ্লেষণে এসব কথা বলেছেন টাইগারদের সফলতম সাবেক অধিনায়ক। সব মিলিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে মাশরাফি লিখেছেন, ম্যাচের একদিন পার হয়ে গেল কত কথা শুনলাম যার অনেক কিছুরই যুক্তি আছে। কারণ দল হেরে গেলে মানুষ তার প্রতিক্রিয়া নিজের মতো করে দেবে এটাই স্বাভাবিক। আমার মনেও অনেক কিছুই এসেছে তবে দুটো জিনিস খুব বেশি মনে হচ্ছে, ম্যাচটা হারার জন্য কি শুধুই রিয়াদ আর লিটনই দায়ী আর কোনো বিষয় কি নেই। ম্যাচের ৯.৪ ওভার ৭৯ রানে ওদের ৪ উইকেট ঠিক তখন আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ড্রিংঙ্কস ব্রেক। তার মানে কোচ মাঠের ভিতর আসবে। আমাদের কোচও এসেছিল, তাহলে উনি এসে রিয়াদের সঙ্গে কী কথা বলেছিল। যদি বলে থাকে তাহলে কি সব দায় রিয়াদের? মানলাম অন ফিল্ড ক্যাপ্টেন কল ইজ ফাইনাল। তবে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের ক্রান্চ মোমেন্টে কি কোচ ডিস্কাশন করে না, কারণ ক্যাপ্টেন তখন বিভিন্ন বিষয়ে চাপে থাকে। তার প্ল্যান কী- এটা কী জানতে চেয়েছিল কোচ? আর যদি কথা হয়ে থাকে তাহলে কি কোচের প্রেস হ্যান্ডেল করা উচিত ছিল কিনা?
২০১৯ বিশ্বকাপের পর ম্যানেজমেন্টের প্রায় সবাই চাকরি হারিয়েছে স্রেফ বর্তমান ফিল্ডিং কোচ ছাড়া। তাহলে আমরা বিশ্বকাপে বা তারপর কি সেরা ফিল্ডিং সাইড হয়ে গিয়েছি? এখন টিম ম্যানেজমেন্ট দেখলে মনে হয় একটা রিহ্যাব সেন্টার, যেখানে সাউথ আফ্রিকার সব চাকরি না পাওয়া কোচগুলো একসঙ্গে আমাদের রিহ্যাব সেন্টারে চাকরি করছে।
এদের বাদ দেয়া আরো বিপদ। কারণ চুক্তির পুরো টাকাটা নিয়ে চলে যাবে। তাহলে দাঁড়াল কী? তারা যতদিন থাকবে আর মন যা চাইবে তাই করবে। হেড কোচ এক এক করে নিজ দেশের সবাইকে আনছে, এরপর যারা অস্থায়ীভাবে আছে তাদেরও সরাবে আর নিজের মতো করে ম্যানেজমেন্ট সাজাবে। তাও মেনে নিলাম কিন্তু রাসেল (হেড কোচ) ম্যানেজমেন্টের জন্য যেভাবে স্টেপআপ করে মূল দলের জন্য তাহলে লুকিয়ে কেন? কেন তামিম, মুশফিক, রিয়াদ ভালো থাকে না। এটা ঠিক করা তার কাজ না? আমি আমার ক্যাপ্টেন্সির শেষ প্রেস কনফারেন্সে বলেছিলাম এই দলের কোচ যেই হোক না কেন এখন এই দলের রেজাল্ট করার সময় এক্সপেরিমেন্টের না। কোচের চাহিদা মেটানোর আগে আমাদের দেশের স্বার্থ আগে দেখতে হবে। ভালো করুক আমার প্রিয় দল। আল্লাহ সহায় হোন আমাদের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়