পাসপোর্ট জটিলতায় আটকে আছেন অর্ধলাখ প্রবাসী

আগের সংবাদ

পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ বাড়ছে

পরের সংবাদ

চৌমুহনীতে সহিংসতা : বিএনপি-জামায়াত সম্পৃক্ততার তথ্য দিয়ে স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় অন্যতম উসকানিদাতা হিসেবে সাবেক বাণিজ্য উপদেষ্টা ও বিএনপি সহসভাপতি বরকত উল্লা বুলুসহ ১৫ বিএনপি-জামায়াত নেতার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সহসভাপতি ফয়সাল ইনাম কমল।
বেগমগঞ্জ থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত কমল গত সোমবার রাতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাঈদ দীন নাহীর কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকোরক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, চৌমুহনীতে সংঘটিত মন্দিরে হামলাসহ সব ধরনের ঘটনায় উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে বরকত উল্লা বুলুসহ ১৫ বিএনপি-জামায়াত নেতা সম্পৃক্ত ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। তবে তদন্ত এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের স্বার্থে তিনি অন্যদের নাম প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করেন।
পুলিশ সুপার জানান, ইতোমধ্যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে ১১ বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন আগেই ১৬৪ ধারায় স্বীকোরক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সর্বশেষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়া কমল বেগমগঞ্জ থানার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের রাজুল্লাপুর গ্রামের মৃত আবু হানিফের ছেলে।
এদিকে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলার বিভিন্ন থানার পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও র‌্যাব-১১ বিএনপির দুই নেতা-সমর্থকসহ আরো আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সুধারাম থানার ৭নং ধর্মপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন (৩৩), বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইমরান হোসেন নিশান (২০), একই ওয়ার্ডের মো. রনি (২০), চৌমুহনী পৌরসভার মীরওয়ারিশ গ্রামের বিএনপি সমর্থক মো. ইউসুফ (৩০), চৌমুহনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আক্তারুজ্জামান (৫০), সোনাইমুড়ী উপজেলার রবিউল হোসেন ওরফে রনি (৩২), ল²ীপুর সদর উপজেলার সাহেদুল ইসলাম (২২) ও হাতিয়া পৌর বিএনপির প্রচার সম্পাদক সেরাজুল হক বেচু (৪২)।
পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম আরো জানান, আসামি ইমরান হোসেন নিশান পূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আব্দুর রহিম সুজনসহ কয়েকজন মন্দিরে লুটপাট করে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ভাগবাটোয়ারা করে। আসামি নিশান ৮ হাজার টাকা ভাগে পায়। এর মধ্যে ৫ হাজার ৫০০ টাকা সে খরচ করে। বাকি ২ হাজার ৫০০ টাকা তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়