নানা আয়োজনে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

আগের সংবাদ

লো স্কোরিংয়ের রোমাঞ্চকর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জয়

পরের সংবাদ

ইকবাল যেভাবে পুলিশের কব্জায়

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোহাম্মদ সোহেল, নোয়াখালী থেকে : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের তিন ছাত্রলীগ কর্মীর সঙ্গে গানের সুর মেলাতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন কুমিল্লার নানুয়ার দীঘিরপাড় দুর্গা পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন শরিফ রেখে আসার ঘটনায় অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন।
চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের ব্যবস্থাপনা বিষয়ের মাস্টার্সের ছাত্র এবং ছাত্রলীগ কর্মী মেহেদী হাসান মিশু জানান, গত সোমবার রাতে তার বন্ধু সাজ্জাদুর রহমান অনিক ও তাদের ঢাকার তিন ব্যবসায়ী বন্ধু রায়হান, মামুন ও হৃদয়সহ পাঁচ বন্ধু কক্সবাজার বেড়াতে যান। পরদিন মঙ্গলবার সকালে সেখানে থাকা আরেক বন্ধু সাইফুল ইসলাম সাইফ তাদের সঙ্গে যোগ দেন। বুধবার বিকাল ৪টায় দরিয়ানগরে ঘুরতে বের হন তারা। সেখানে ছয় বন্ধু মিলে সময় কাটাতে গান গাওয়ার সময় একজন অপরিচিত লোক (ইকবাল) তাদের সঙ্গে সুর মেলাতে থাকে। এরপর ওই রাতে তারা রুমে যাওয়ার পর টেলিভিশন এবং ফেসবুকে ইকবালের ছবি দেখে সন্দেহ হয়।
ছাত্রলীগ কর্মী মিশু বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা সুগন্ধা পয়েন্টে গেলে ইকবালের সঙ্গে তাদের আবার দেখা হয়। তখন ইকবালের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবি মিলিয়ে দেখা যায় ছবির সঙ্গে ইকবালের চেহারার মিল রয়েছে। এরপর তারা ইকবালের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে ইকবাল পালিয়ে যেতে চাইলে তাকে নাস্তা ও সিগারেট খাইয়ে কৌশলে আটকে রাখেন ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় তার নাম জানতে চাইলে সে ইকবাল বলে জানায়। তখন তারা পূজামণ্ডপে কুরআন শরিফ রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে ইকবাল জানায়, আল্লাহ আমাকে দিয়ে এটা করিয়েছেন, সবই আল্লাহর ইচ্ছা। তখন তারা কৌশলে ইকবালের ছবি তুলে মোবাইলে নোয়াখালীর এএসপি শাহ ইমরানের সঙ্গে কথা বলে ছবি পাঠান। তিনি ছাত্রলীগ কর্মীদের কুমিল্লার পুলিশ সুপারের মোবাইল নম্বর দেন। পরে কুমিল্লার পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ছবি পাঠালে তিনি কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন। পরবর্তী সময়ে রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন- বেগমগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের মেহেদী হাসান মিশু, চৌমুহনী পৌরসভার গণিপুর গ্রামের সাজ্জাদুর রহমান অনিক ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম সাইফ। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম সাইফ কক্সবাজারে চাকরি করেন। ১০ বছর ধরে চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় তারা নিজেদের ছাত্রলীগের সিনিয়র কর্মী হিসেবে দাবি করেন। গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় মিশু এবং অনিক চৌমুহনীতে এসে পৌঁছান।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনান জানান, মেহেদী হাসান মিশু, সাজ্জাদুর রহমান অনিক ও সাইফুল ইসলাম সাইফ তিনজনই ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। তিনজনের মধ্যে সাইফুলের চাকরি হয়েছে মৎস্য অধিদপ্তরে। মিশু এবং অনিক সংগঠনের প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ ইমরান বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেহেদী হাসান মিশু ও সাজ্জাত রহমান অনিক যোগাযোগ করলে তাদের কুমিল্লা পুলিশ সুপার ও কক্সবাজার পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়