টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সফল পাঁচ অধিনায়ক : তাইফ রহমান রাফি

আগের সংবাদ

সড়কে নেই ‘ডিজিটাল’ ছোঁয়া

পরের সংবাদ

লো স্কোরিংয়ের রোমাঞ্চকর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জয়

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায়। যদিও তাদের এই রান তাড়া করতেই খেলতে হয়েছে শেষ ওভার পর্যন্ত। তারা ১৯ ওভার ৪ বল খেলে ১২১ রান করে। ম্যাচটিতে কম রান হলেও বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। একটা সময় মনে হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া হয়তো হেরেই যাবে। কিন্তু শেষদিকে ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়তে সমর্থ হয় তারা। বিশ্বকাপে আরেকবার মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সেটি ২০১২ সালে। সেবারও অস্ট্রেলিয়া জয় পেয়েছিল। এ ম্যাচটিতে ১১৮ রান করে বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ড থেকে বেঁচেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের সর্বনিম্ন রান হলো ১১৬। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে ভারতের বিপক্ষে এই রান করে তারা।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় বেশি দূর আগাতে পারেনি তারা। তবে ব্যাটিংয়ে ভালো না করতে পারলেও ভালো বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের মাধ্যমে অজিদের ঠিকই চেপে ধরতে সমর্থ হয়। তবে এর আগে প্রোটিয়াদের অল্প রানে বেঁধে দিতে সমর্থ হয় অস্ট্রেলিয়া। এক্ষেত্রে অজিদের মধ্যে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন জস হ্যাজেলউড। তিনি মাত্র ১৯ রান দিয়ে দুটি উইকেট তুলে নেন। ফলে ম্যাচসেরার পুরস্কার যায় তার হাতেই।
এই অল্প রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪ রানের মাথায় অ্যারন ফিঞ্চকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর ২০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৪ রান করে বিদায় নেন ওয়ার্নার। কিন্তু এরপর স্টিভ স্মিথ ও গø্যান ম্যাক্সওয়েল মিলে পার্টনারশিপ গড়ে দলের জয়ের ভিত্তি গড়ে দেন। স্মিথ ৩৪ বল খেলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন। অন্যদিকে ম্যাক্সওয়েল ২১ বলে করেন ১৮ রান। শেষ দিকে যখন প্রোটিয়া বোলারদের চাপে পড়ে একটু নেতিয়ে যাচ্ছিল। তখনই ১৬ বলে ২৪ রানের অপরাজিত ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দেন মার্কাস স্টোনিস। অন্যদিকে ম্যাথু ওয়েড ১০ বল খেলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২১ রান দিয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট তুলে নেন এনরিখ নর্টজে।
এর আগে ম্যাচটিতে মাত্র ১৩ রানে ওপেনার ও অধিনায়ক তেম্বা ভাবুমাকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তিনি ৭ বলে ১২ রান করে

ম্যাক্সওয়েলের বলে বোল্ড আউট হন। এরপর ভেন ডার ডুসেন রাসি ভেন ডার ডুসেন হ্যাজেলউডের প্রথম ওভারেই মাত্র ৩ বল খেলে ২ রান করে আউট হয়ে যান। এরপর দলীয় ২৩ রানের সময় সেই হ্যাজেলউডের বলে ডি কক বোল্ড আউট হন। যদিও এক্ষেত্রে তার কপালটা খারাপ বলতে হবে। কারণ বল তার ব্যাটে লেগে গিয়ে স্টাম্পে আঘাত হানে। ডি ককও দ্রুত বিদায় নেয়ার পর তখন ক্রিজে থাকা এইডেন মাক্রাম ও হেনরিখ ক্লাসান মিলে চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারাও বেশিদূর এগুতে পারেননি। দলীয় ৪৬ রানের সময় ক্লাসান ১২ বল খেলে ১২ রান করে ক্লাসান প্যাট কামিন্সের বলে ক্যাচ আউট হন। মাঝে একটু ধরে খেলতে সমর্থ হন মাক্রাম ও ডেভিড মিলার। কিন্তু ৮০ রানের সময় মিলার ১৮ বল খেলে ১৬ রান করে অ্যাডাম জাম্পার বলে এলবিডব্লিউ আউট হন। এরপর যথাক্রমে দলীয় ৮২ রানের সময় ডউইন প্রেটোরিয়াস ২ বলে ১ করে অ্যাডাম জাম্পার বলে ক্যাচ আউট ও ৮৩ রানের সময় কেশাভ মহারাজ ২ বল খেলে কোন রান করার আগে রান আউট হন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়