ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে আরেক মামলা

আগের সংবাদ

রুট পারমিটের তোয়াক্কা নেই রাজধানীর গণপরিবহনের

পরের সংবাদ

সাত টাকা বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণে সয়াবিন তেলের দাম আরো এক দফা বাড়াল ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা। নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি লিটারে ৭ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেল খুচরা বাজারে ১৬০ টাকা লিটার বিক্রি হবে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স এন্ড বনষ্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন সয়াবিন তেলের নতুন দাম ঘোষণা করে।
এসোসিয়েশন জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও অপরিশোধিত পাম তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়। নতুন দাম অনুযায়ী, ১ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৫৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬০ টাকা, খোলা সয়াবিন ১২৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩৬ টাকা, ৫ লিটারের বোতল ৭২৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া পাম ওয়েলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ১১৮ টাকা। এর আগে গত ১৫ অক্টোবর বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয় ৪ টাকা। যদিও সে সময় ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদুল ফিতরের আগে করোনার কারণে যে ৪ টাকা দাম কমানো হয়েছিল তা সমন্বয় করা হয়েছে। এর আগে অবশ্য তেলের দাম প্রতি লিটারে ৯ টাকা বাড়ানো হয়েছিল।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতি বছর দেশে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। চাহিদার প্রায় ৯৫ শতাংশই আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। গত রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (আইআইটি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের নেতৃত্বে ভোজ্যতেল ও চিনির মজুত পরিস্থিতি, আমদানি ও মূল্য নির্ধারণ নিয়ে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬৮ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছিল। এটি বিশ্লেষণ করে ট্যারিফ কমিশন ১৬২ টাকা করার সুপারিশ করে। তবে সবপক্ষ সম্মত হয়ে ১৬০ টাকা দাম নির্ধারণের ঘোষণা দেয়া হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এক বছরের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম ৭৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যেই ব্যবসায়ীরা চিনির দাম কেজিতে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। এ প্রস্তাবে সায় না দিলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে স¤প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চিনির ওপর থেকে ১০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেয়। তাতেও অবশ্য চিনির বাজারে অস্থিরতা কমেনি। সরকারের বেধে দেয়া দামে বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে না। সরকার প্রতিকেজি খোলা ও প্যাকেটজাত চিনি ৭৪ ও ৭৫ টাকা বেধে দিলেও বাজারে ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়