ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে আরেক মামলা

আগের সংবাদ

রুট পারমিটের তোয়াক্কা নেই রাজধানীর গণপরিবহনের

পরের সংবাদ

সময় বহিয়া যায়

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পরাধীন ব্রিটিশ-ভারত থেকে পাকিস্তানের কালো অধ্যায় পেরিয়ে জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের। এই মহান অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের মোড় ঘোরানো নানা ঘটনা, যার কারিগর হিসেবে কেউ আখ্যায়িত হয়েছেন নায়কের অভিধায়; কেউবা আবির্ভূত হয়েছেন খলনায়কের চরিত্রে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে সেসব ঘটনা ও তার নায়ক-খলনায়কদের কার কী ভূমিকা, তাই নিয়েই অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গ্রন্থ ‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’। স¤প্রতি ভোরের কাগজ প্রকাশন থেকে বের হয়েছে বইটি। এ বই থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন কিছু অংশ তুলে ধরা হচ্ছে ভোরের কাগজের পাঠকদের জন্য।
নয়াদিল্লি ৩১ মার্চ, ১৯৭১
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্সের একটি সেমিনার। সেখানে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ এন্ড এনালিসিসের ডাইরেক্টর কে সুব্রাহমানিয়াম পূর্ব পাকিস্তানের ঘটনাবলি বিশ্লেষণ করে বলেন, যে সুযোগ এসেছে তা আর কখনো আসবে না।
তার সঙ্গে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর প্রাক্তন জেনারেলরা ও পার্লামেন্টের সদস্য এমনকি মন্ত্রিপরিষদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগজীবন রাম ও অর্থমন্ত্রী ওয়াই, বি, চ্যাবন অবিলম্বে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের পক্ষে মতপ্রকাশ করেন। এই সব বক্তৃতা, বিবৃতি, ভারতীয় ও বিদেশি প্রচার মাধ্যমগুলো ও ক্রমবর্ধমান জনমতের চাপে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী রাজনৈতিক ও সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার বিশ্লেষণ করে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেন। ২৭ মার্চ ভারতীয় পার্লামেন্টের বাংলাদেশ সম্পর্কীয় বিতর্কে হস্তক্ষেপ করে তিনি একটি ভাষণ দেন।
সেই ভাষণটি পর্যালোচনা করলে কয়েকটি বিষয় বের হয়ে আসে, যেমন-
# গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিমালা এবং সমাজতন্ত্রের প্রতি শেখ মুজিবের প্রণীত নীতিগুলোর সঙ্গে ভারতীয় নীতি ও আদর্শের মিল এবং ওই নীতি ও আদর্শের প্রতি জনগণের সর্বাত্মক আস্থা ও বিশ্বাস।
# বাংলাদেশে সংঘটিত নিষ্ঠুর গণহত্যা, জনগণের অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশা, রক্ত, মৃত্যু, নিরস্ত্র জনতার স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ ভারত সরকার ও ভারতীয় জনগণকে মানসিক ও মানবিক দিক থেকে প্রবলভাবে নাড়া দেয়। এমনকি ২৫ মার্চ গণহত্যার প্রতিবাদে ও বাংলাদেশের সংগ্রামের সমর্থনে কলকাতায় অভূতপূর্ব হরতাল পালিত হয়- যার রাজনৈতিক গুরুত্ব

লক্ষ্যণীয় ছিল।
# দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তানের সার্বক্ষণিক বৈরিতা, যুদ্ধ, আক্রমণ ভারতকে বারবার আঘাত করেছে। সেজন্য এই ‘প্রাপ্ত’ সুযোগ গ্রহণে ভারত সরকারের কোনো প্রকার দ্বিধা ছিল না।
সেজন্য রাজনৈতিকভাবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে সমর্থনদানের প্রশ্নে ভারত সরকার ও জনগণের অভিব্যক্তি ছিল সম্পূর্ণ অনুকূল।

আগামিকাল প্রকাশিত হবে
‘মুক্তি বাহিনীর সর্বপ্রথম বন্ধু’
‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’- বইটি পাওয়া যাচ্ছে ভোরের কাগজ প্রকাশনে (ভোরের কাগজ কার্যালয়, ৭০ শহীদ সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা)। এছাড়া সংগ্রহ করা যাবে bhorerkagojprokashan.com থেকেও।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়