ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে আরেক মামলা

আগের সংবাদ

রুট পারমিটের তোয়াক্কা নেই রাজধানীর গণপরিবহনের

পরের সংবাদ

মেসির জার্সি পেয়ে উচ্ছ¡সিত পোপ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে শুধু এক নজর দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন বিশ্বের সব ভক্ত। তার ভক্তের তালিকায় সাধারণ মানুষ ছাড়াও রয়েছে বিশ্বের নামিদামি ব্যক্তিত্বরা। শুধু দেখা পেতেই যখন এত আকাক্সক্ষা। সেখানে যদি মেসির অটোগ্রাফযুক্ত জার্সি পাওয়া যায়, তাহলে বিষয়টি কত বড় হবে এ নিয়ে কিছু বলার নেই। এবার মেসির অটোগ্রাফযুক্ত জার্সি পেয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনি আবার আর্জেন্টিনার নাগরিক। আর তার স্বদেশী মেসির জার্সি তিনি পেয়েছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে। মেসির বর্তমান ঠিকানা ফ্রান্স সফরে গিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। সেখানে গিয়েই তিনি পেয়েছেন মেসির অটোগ্রাফযুক্ত পিএসজির জার্সি। ভ্যাটিকান পোপ ফ্রান্সিস আর্জেন্টাইন তারকারও গুণমুগ্ধ ভক্ত তিনি। মেসি এখন খেলেন ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের হয়ে। চলতি মৌসুমেই বার্সেলোনার সঙ্গে ২১ বছরের সম্পর্কের ইতি টেনে ক্লাবটিতে যোগ দেন তিনি।
পরশুদিন একটি অনুষ্ঠানে ফ্রান্সের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জিন কাস্তেক্স পিএসজির জার্সি নিয়ে পোপের হাতে তুলে দেন। লিওনেল মেসির স্বাক্ষর ছিল তাতে।
জাতিগতভাবে আর্জেন্টাইন ফ্রান্সিস যে মেসির ভক্ত তা আগেও অনেকবার বলেছেন তিনি। ৮৪ বছর বয়সি পোপ অবশ্য আগেও দেখা করেছেন মেসির সঙ্গে।
এছাড়া একবার মেসিকে সর্বকালের সেরা বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি।
বুয়েন্স আয়ার্সের সান লরেঞ্জো ফুটবল টিমের বিশাল ভক্ত ফ্রান্সিস।
এদিকে মেসি এ মৌসুমে পিএসজি ছাড়ার আগেই গত মৌসুমে নিজের প্রিয় ক্লাব প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন। সেবার সাবেক সভাপতি জোসেফ মারিয়া বার্তেমেউর সঙ্গে তার দ্ব›দ্ব হয়েছিল। বার্তেমেউর কারণেই বলতে গেলে মেসির বার্সা ছাড়া পথটি সুগম হয়। আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত বার্সার বর্তমান দৈন্যদশার জন্যও দায়ী করা হয় বার্তেমেউকে। সেই বার্তেমেউ আবার হতে চান বার্সার সভাপতি। নতুন এক ঘোষণা দিয়ে আবার নির্বাচনে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন গত বছর পদত্যাগ করা এই সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমি আবারো নির্বাচনে দাঁড়াব। আমি ১২টি মৌসুম কাটিয়েছি এখানে। শুরুতে লাপোর্তা, রোসেল এবং পরবর্তীতে নিজে প্রেসিডেন্ট হিসেবে।’
বার্সেলোনা সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল সেই ২০১৫ সালে। এরপর থেকে ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় কেবল দুঃস্মৃতিই উপহার পেয়েছে বার্সা। অধরা সেই ট্রফিটা ন্যু ক্যাম্পে ফেরানোর একটা দারুণ ইচ্ছা ছিল মেসির। সে কারণেই দলে থাকাকালে সব সময়ই তৎকালীন অধিনায়কের চাওয়া ছিল একটা প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ স্কোয়াড, একটা যুতসই ক্রীড়া প্রকল্প। কিন্তু বার্তোমেউর বোর্ড সেটা দিতে পারেনি তাকে। সে কারণে ২০১৯-২০ মৌসুম শেষে দল ছেড়ে চলেই যেতে চেয়েছিলেন।
তিনি নানান স্বপ্ন দেখালেও বার্সার বর্তমান অর্থনৈতিক সমস্যার মূলে তার অধীনে থাকা বোর্ডই। শেষ চার বছরের বার্সার অপরিকল্পিত সব দলবদল তো আছেই, খেলোয়াড়দের বেতনও প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি দিয়েছে তার বোর্ড, চুক্তির দরকষাকষিতেও দূরদর্শিতার ছাপ দেখাতে পারেনি।
ফলে করোনাকালে ক্লাবের নিয়মিত আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বড় আর্থিক সমস্যাতেই পড়তে হয়েছে দলটিকে। যে কারণে মেসিকে ক্লাবে রাখা সম্ভব হয়নি বার্সার। মেসির দল ছাড়তে চাওয়া, এক মৌসুম পর মেসির থাকতে চেয়েও বার্সা ছাড়ার কারণ বনে যাওয়ায় বার্তোমেউ বার্সেলোনা সমর্থকদের মাঝে বেশ অজনপ্রিয়। সেই বার্তেমেউই আবার সভাপতি হওয়ার আশা ব্যক্ত করলেন।
তবে সাবেক এই সভাপতি স্বীকার করেছেন তার অতীতের কিছু ভুল। বার্তেমেউ আমলের অন্যতম কলঙ্কিত অধ্যায় ছিল ২০১৮-১৯ মৌসুমে লিভারপুলের কাছে হার। ওই খেলার পরপরই কিছু পরিবর্তন আনা দরকার ছিল মনে করেন তিনি।
ওই ম্যাচটি সম্পর্কে, ‘লিভারপুলের বিপক্ষে পরাজয়ের পর দলে পরিবর্তন না আনাটা ভুল ছিল। আমি খেলোয়াড়দের কথা শুনেছিলাম এবং আমি ভুল ছিলাম। আমরা আমাদের আর্থিক সীমায় পৌঁছে গিয়েছিলাম ও তার পরপরই মহামারির ফাঁদে পড়লাম আমরা।’
বার্তেমেউর আমলে বেশ কিছু অপরিকল্পিত দলবদল সম্পন্ন করে বার্সেলোনা। তার আমলে কেনা অধিকাংশ খেলোয়াড়ই ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হন দলে। এই তালিকায় আছেন উসমান দেম্বেলে, ফেলিপে কুতিনহো, আন্তোনিও গ্রিজম্যানসহ আরো অনেকে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কিছু খেলোয়াড় যাদের আমরা দলে ভিড়িয়েছিলাম প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। কারো কারো পিছনে অনেক অর্থ খরচ হত, কিন্তু এগুলো ফুটবলে হয়ে থাকে। কুতিনহো ও দেম্বেলেকে দলে নেয়ার পর সবাই তাদেরকে সাধুবাদ জানিয়েছিল। ইনিয়েস্তা চলে যাচ্ছিল তাই কুতিনহো এসেছিল। সে প্রিমিয়ার লিগের সেরা খেলোয়াড় ছিল। নেইমারের বিদায়ের কারণে দেম্বেলেকে আনা হয়।’
মেসির বার্সা ছাড়ার জন্য যেহেতু অনেকাংশেই দায়ী বার্তেমেউ। ফলে তার পুনরায় নির্বাচিত হয়ে বার্সার সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবুও তিনি আশায় বুক বেঁধেছেন যদি কিছু একটা হয়। মেসি চলে যাওয়ার পর বার্সার মাঠের পারফরম্যান্সও বেশ শোচনীয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়