ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে আরেক মামলা

আগের সংবাদ

রুট পারমিটের তোয়াক্কা নেই রাজধানীর গণপরিবহনের

পরের সংবাদ

জয়ের পথে মুমিনুলরা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আগামী মাসে দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুইটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। তার আগে নিজেদের প্রস্তুত করে নিতে জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) মাঠে নেমেছে মুমিনুলরা। ১৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এনসিএলের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে চট্টগ্রামে মুখোমুখি হয় স্বাগতিক চট্টগ্রাম বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগ। ইয়াসির আলী রাব্বির সেঞ্চুরির সঙ্গে দুই ইনিংস মিলিয়ে স্পিনার নাঈম হাসানের ৮ উইকেটে জয়ের দ্বারপ্রান্তে অধিনায়ক মুমিনুল হকের দল। চার দিনের ম্যাচের শেষ দিনে জয়ের জন্য চট্টগ্রামের প্রয়োজন মাত্র ৬২ রান। অন্যদিকে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ঢাকা বিভাগ ও সিলেট বিভাগ। ম্যাচটি দাপটের সঙ্গে মাত্র আড়াই দিনে ৭ উইকেটের ব্যবধানে জিতে নেয় ঢাকা বিভাগ। ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬৪ রান দিয়ে ১০ উইকেট শিকার করে সিলেটকে একাই ধসিয়ে দেন স্পিনার নাজমুল হাসান অপু।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে আগে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ১৬৬ রান তোলে রাজশাহী বিভাগ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য তৌহিদ হৃদয়। এই ইনিংসে মাত্র ৪২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন নাঈম হাসান। পরে ব্যাট করতে নেমে ইয়াসির আলীর সেঞ্চুরি (১২৯) ও মুমিনুল হক এবং ইরফান শুক্কুরের ফিফটিতে ৩৪৯ রানে থামে চট্টগ্রামের ইনিংস। এতে প্রথম ইনিংস শেষে ১৮৩ রানের লিড পায় চট্টগ্রাম বিভাগ।
এর আগে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে রাজশাহী বিভাগ। ব্যাট হাতে ব্যর্থ টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে রাজশাহীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭৯ রান। এরপর গতকাল জহুরুল ইসলাম ২১ রান আর তৌহিদ হৃদয় ২৬ রান নিয়ে ম্যাচের তৃতীয় দিন শুরু করেন। দুজনেই পেয়েছেন ফিফটির স্বাদ। জহুরুল আউট হন ৫৩ রান করে। আগের ইনিংসের সমান এই ইনিংসেও ৬৮ রান আসে তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে। পরে ফরহাদ রেজার ৪০ ও সানজামুল ইসলামের ৩৯ রানের সুবাদে ২৫৯ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস। আগের ইনিংসের মতোই দ্বিতীয় ইনিংসেও সমান ৪ উইকেট পান নাঈম হাসান। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট তার। ৭৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তাসামুল হক ও ইরফান শুক্কুরের উইকেট হারিয়ে বসে চট্টগ্রাম বিভাগ। সাদিকুর ও নাঈম হাসান সমান ৩ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেন। তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ১৫ রান। জয়ের জন্য শেষ দিনে তাদের প্রয়োজন মাত্র ৬২ রান, হাতে আছে ৮ উইকেট।
জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগের দিনই। সেই পথে এগিয়ে যেতে তৃতীয় দিন মোটেও সময় নেয়নি ঢাকা বিভাগ। অনায়াসেই সিলেট বিভাগকে হারিয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগের এবারের আসর শুরু করল তারা। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে প্রথম স্তরের ম্যাচটি গতকাল ঢাকা জিতে নিয়েছে ৭ উইকেটে।
৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তৃতীয় দিন ঢাকার প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৮ রান। রকিবুল হাসান ও তাইবুর রহমানের ব্যাটে দিনের তৃতীয় ওভারেই তা ছুঁয়ে ফেলে দলটি। ৩ উইকেট ৪৮ রান নিয়ে শুরু করা দিনের প্রথম ওভারেই পরপর দুই বলে খালেদ আহমেদকে চার মারেন রকিবুল। পরের ওভারে এনামুল হক জুনিয়রকে বাউন্ডারি হাঁকান তাইবুর। ৩ চারে ১৫ করে অপরাজিত ছিলেন রকিবুল। এক চারে তাইবুর মাঠ ছাড়েন ৮ রান করে। ঢাকার জয়ের ভিত অবশ্য গড়া হয়ে গিয়েছিল ম্যাচের প্রথম দিনই। নাজমুল ইসলাম অপুর দুর্দান্ত বোলিংয়ে সিলেটকে তারা গুটিয়ে দেয় কেবল ৬৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসেও সিলেট করতে পারেনি বড় রান। ফলে প্রথম ইনিংসে ভালো না করা ঢাকার জয় পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪টি, ম্যাচে ৬৪ রান দিয়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল। যা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। আগামী রোববার রংপুর বিভাগের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে ঢাকা। আর সিলেট খেলবে খুলনার বিপক্ষে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়