ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে আরেক মামলা

আগের সংবাদ

রুট পারমিটের তোয়াক্কা নেই রাজধানীর গণপরিবহনের

পরের সংবাদ

কুমিল্লাকাণ্ডের মূল হোতা চিহ্নিত শিগগিরই আটক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কুমিল্লা নানুয়া দীঘিরপাড়ের মণ্ডপে হামলার পর শহরে মন্দিরে হামলার মূল হোতা চিহ্নিত হলেও ধরা পড়েনি। তার নাম পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গোয়েন্দাদের কাছে তার বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। তাকে ধরতে প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ, র‌্যাব ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম দেশের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালাচ্ছে। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি ঘন ঘন স্থান বদল করায় আটক করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। সবকিছু নিশ্চিত হয়েই গোয়েন্দা জাল বিছানো হয়েছে। তবে কে এই ব্যক্তি এবং কেন এসব করেছে, তার উদ্দেশ্য কি ছিল- তা নিয়ে রহস্য ও প্রশ্নের কমতি নেই। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন পদস্থ গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, চিহ্নিত ব্যক্তির বাড়ি কুমিল্লায়। তার রাজনৈতিক পরিচয় না খুঁজে অপরাধীর পরিচয় অপরাধী বলেই দেখছেন তারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গতকাল মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, কুমিল্লার ঘটনা যে ঘটিয়েছে সে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে, স্থান পরিবর্তন করছে। আমরা তাকে ধরব। কেন এই কাজ করেছে তার জবাব দিতে হবে। শিগগিরই তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, চিহ্নিত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। তাকে ধরা গেলে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। অনেক প্রশ্নের জবাব মিলবে বলে জানান তিনি। তবে তার ব্যাপারে এখনই বিস্তারিত কিছু জানাতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেছেন, মূল হোতাকে আইনের আওতায় আনতে সবরকম চেষ্টা করছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহামুদ পাশা জানান, এ ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে র‌্যাব। কারা জড়িত, কেন ঘটানো হয়েছে সব বিষয়ে তদন্ত চলছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা অব্যাহত আছে।
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে উগ্র সাম্প্রদায়িক একটি চক্র অনেকদিন ধরে তৎপর। তারা প্রযুক্তির সহায়তায় অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে। তারাই শারদীয় দুর্গাপূজায় মণ্ডপে হামলা করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে। এর মধ্যদিয়ে তা ছড়িয়েছে দেশের কয়েকটি জেলায়। জড়িতরা যেমন সরকারবিরোধী মতাদর্শের তেমনিভাবে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা প্রচার করে আসছে। তাদের বক্তব্য সমর্থন করে সেগুলো ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে আসছে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িতরা। এমন অনেক সাইড ও লিংক বন্ধ করা হলেও বিকল্প পন্থায় প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করে তারা সরব রয়েছে।
একাধিক গোয়েন্দা জানিয়েছে, সাইবার ক্রাইম ইউনিট, জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) এ নিয়ে কাজ করছে। তাদের তদন্তে সবকিছু খোলাসা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তদন্তকাজ তদারকি করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রেখে দিকনির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়