কাগজ ডেস্ক : আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই ভারতের প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন রবি শাস্ত্রী। এ টুর্নামেন্টের পর তার বর্তমান মেয়াদ শেষ হচ্ছে এবং তিনি আর নতুন চুক্তি করতে চান না। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এমন খবর জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রধান কোচ ছিলেন রবি শাস্ত্রী। এরপর ২০১৯ সালের আগস্টে দুই বছরের জন্য আবারো তাকে প্রধান কোচ হিসেবে তাকে নিযুক্ত করা হয়। তাই রবি শাস্ত্রীর পর কোহলি-রোহিতদের প্রধান কোচ কে হবেন এমন জল্পনা-কল্পনায় ডুবে ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। অবশেষে জানা গেছে, ভারতীয় জাতীয় দলের প্রধান কোচ হতে সম্মতি জানিয়েছেন দেশটির কিংবদন্তি ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড়। তিনি শুরুতে কোহলি-বুমরাহদের কোচ হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ দৃশ্যপট পাল্টে যায় গত পরশু ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ফাইনালের আগে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি এবং সেক্রেটারি জয় শাহ জমজমাট এ টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ উপভোগ করতে দুবাই গিয়েছিলেন। সেখানে তারা দুজন রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র ভারতের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে নিশ্চিত করেন, রবি শাস্ত্রীর জায়গা নিতে যাচ্ছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড়। চুক্তি অনুযায়ী বাৎসরিক ১০ কোটি রুপি বেতন পাবেন নতুন কোচ। এছাড়া সংবাদমাধ্যমটি আরো জানিয়েছে, ভারতীয় জাতীয় দলের পরবর্তী কোচ হিসেবে দ্রাবিড় চূড়ান্ত হয়েছেন। সে দ্রুতই এনসিএ (ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমি) এর প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষেই জাতীয় দলের দায়িত্ব বুঝে নেবেন দ্য ওয়ালখ্যাত এ সাবেক ব্যাটার। ভারতের মাটিতে আগামী ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। এই সময়কালে তার অধীনে ৩টি আইসিসি টুর্নামেন্ট খেলবে ভারত। এমনিতেও বেশ নামডাক আছে রাহুল দ্রাবিড়ের। সম্প্রতি ভারতের পাইপলাইনের অবস্থা বদলে যাওয়ার অন্যতম রূপকার ভাবা হয় তাকে। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় থেকে ময়াঙ্ক আগরওয়াল, পৃথ্বী শ, ঋষভ পান্তের মতো একাধিক তারকাকে নিজের হাতে করে গড়ে তোলা দ্রাবিড় এবার সামলাবেন জাতীয় দলের দায়িত্ব। এ বিষয় তাকে প্রশংসায় ভাসিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, গত দুই বছর ধরে ভারতের ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির প্রধান হিসেবে কাজ করছেন দ্রাবিড়। এর আগে দুই দফায় জাতীয় দলের সঙ্গেও কাজ করছেন তিনি। মনে করা হয়, ২০১৮ সালে ভারতের যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের এই কোচের হাত ধরেই ভারতের পাইপলাইন এখন এত শক্তিশালী।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।