তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন : পূর্ণ প্যানেলে জয়ী কাজিম-আয়েজ পরিষদ

আগের সংবাদ

যুদ্ধাপরাধ বিচারে স্থবিরতা ; বাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এগিয়ে নিতে সরকারের আগ্রহ নিয়ে সংশয়! ট্রাইব্যুনালেও জনবল সংকট

পরের সংবাদ

যুদ্ধকৌশল, গোড়াতেই ভুল

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পরাধীন ব্রিটিশ-ভারত থেকে পাকিস্তানের কালো অধ্যায় পেরিয়ে জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের। এই মহান অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের মোড় ঘোরানো নানা ঘটনা, যার কারিগর হিসেবে কেউ আখ্যায়িত হয়েছেন নায়কের অভিধায়; কেউবা আবির্ভূত হয়েছেন খলনায়কের চরিত্রে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে সেসব ঘটনা ও তার নায়ক-খলনায়কদের কার কী ভূমিকা, তাই নিয়েই অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গ্রন্থ ‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’। স¤প্রতি ভোরের কাগজ প্রকাশন থেকে বের হয়েছে বইটি। এ বই থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন কিছু অংশ তুলে ধরা হচ্ছে ভোরের কাগজের পাঠকদের জন্য।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণে অত্যন্ত ত্বরিৎ গতিতে বাঙালি অফিসার ও সেনাবাহিনীকে অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদেই প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁড়িয়ে পড়তে হয়। অকস্মাৎ আক্রমণের আঘাতে বিচ্ছিন্ন, মুখোমুখি সংঘর্ষের জন্য প্রায় অপ্রস্তুত এবং পূর্ব পরিকল্পনার অনুপস্থিতি বাঙালি সেনা অফিসার ও জওয়ানদের বেকায়দা অবস্থায় ঠেলে দেয়।
তবুও ভিন্ন ক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে তাদের সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়। একটি শক্তিশালী সামরিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে ‘পিচ ব্যাটেল’ বা খণ্ডযুদ্ধে অংশগ্রহণ ছিল মারাত্মক রকমের ভুল। সেই ভুল যুদ্ধরীতির ফাঁদে পা দিয়ে ‘বিদ্রোহী’ বাঙালি সেনারা নিয়মিত যুদ্ধ পদ্ধতিতে মে মাস পর্যন্ত যুদ্ধ করতে থাকেন। নিয়মিত বাহিনীর স্বাভাবিক কৌশলগত নিয়মিত যুদ্ধরীতি বা কনভেনশনাল যুদ্ধরীতি অবলম্বনের ট্যাকটিক্স বাঙালি সৈন্য বাহিনীর জন্য ছিল মারাত্মক রকমের আত্মঘাতী।
ভুলের পেছনে আরো ভুল : মে মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই প্রধান সেনাপতি কর্নেল ওসমানী ও তার অধিনায়কদের কাছে পরিষ্কার হয়ে ওঠে যে, সীমান্তের এ পাশে চলে আসা এবং দেশের অভ্যন্তরে অসম সাহসী তরুণ যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে গেরিলা কায়দায় যুদ্ধরীতি পরিচালনার বিকল্প আর নেই। শক্তিশালী গেরিলা বাহিনীই কেবলমাত্র প্রচণ্ড শক্তিধর পাকিস্তান বাহিনীর সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে নিউট্রালাইজ করতে সক্ষম। তবুও পুরনো ধাঁচের চেতনা দ্বারা আচ্ছন্ন এই যুদ্ধ বিশারদরা কনভেশনাল ওয়ারকেই স্ট্র্যাটেজি হিসেবে প্রাধান্য দেন।
এ কথাও মুক্তি বাহিনীর সমর পরিকল্পনাবিদদের মনে সবসময়ই ক্রিয়াশীল ছিল যে গেরিলা কায়দায় যুদ্ধ করে দেশ মুক্ত করতে বহু সময় লাগবে- অথচ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে বারবার প্রতীয়মান হচ্ছিল সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।
মে মাসের প্রথম দিকেই এইসব সমর পরিকল্পনাবিদ নতুন পদ্ধতি

অবলম্বন করার জন্য আগ্রহী হয়ে নিয়মিত বাহিনীর প্রায় সবকটি ইউনিটকে একত্র করে ব্রিগেড ও সেক্টর ট্রুপে ভাগ করে ফেলেন।
আগামীকাল প্রকাশিত হবে
‘গেরিলা তৎপরতা’
‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’- বইটি পাওয়া যাচ্ছে ভোরের কাগজ প্রকাশনে (ভোরের কাগজ কার্যালয়, ৭০ শহীদ সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা)। এ ছাড়া সংগ্রহ করা যাবে bhorerkagojprokashan.com থেকেও।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়