২৩ অক্টোবর ভোট গ্রহণ : বিএফইউজের নির্বাচনে আর বাধা নেই

আগের সংবাদ

বাঙালির মাতৃপূজা দেশমাতৃকার পূজা থেকে আলাদা নয়

পরের সংবাদ

সেক্টর কমান্ডারদের বিলম্বিত শপথগ্রহণ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পরাধীন ব্রিটিশ-ভারত থেকে পাকিস্তানের কালো অধ্যায় পেরিয়ে জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের। এই মহান অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের মোড় ঘোরানো নানা ঘটনা, যার কারিগর হিসেবে কেউ আখ্যায়িত হয়েছেন নায়কের অভিধায়; কেউবা আবির্ভূত হয়েছেন খলনায়কের চরিত্রে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে সেসব ঘটনা ও তার নায়ক-খলনায়কদের কার কী ভূমিকা, তাই নিয়েই অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গ্রন্থ ‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’। স¤প্রতি ভোরের কাগজ প্রকাশন থেকে বের হয়েছে বইটি। এ বই থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন কিছু অংশ তুলে ধরা হচ্ছে ভোরের কাগজের পাঠকদের জন্য।
সীমান্তের ওপারে অবস্থিত সেনাবাহিনীকে প্রথম দিকে ভারতীয় রক্ষীবাহিনীর কমান্ডারগণ গোলাবারুদ ও যুদ্ধ রসদ দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করলেও মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাঙালি সেনাবাহিনীর প্রতি বিএসএফের উষ্ণতা হ্রাস পেতে থাকে। ভারতীয় সমর পরিকল্পনাবিদগণ ওই সময় ‘ট্রোটাল ওয়ার প্ল্যান’ নিয়ে ব্যস্ত থাকার ফলে দিল্লির কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশ উহ্যই থেকে যায়। ফলে ভারত থেকে পর্যাপ্ত অস্ত্র প্রাপ্তির আশাভঙ্গ হয়ে পড়লে সামরিক অধিনায়কগণ বিমর্ষ বোধ করতে থাকেন। প্রথম দিকে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে তোয়াক্কা না করার যে উগ্র মানসিকতা এইসব ‘দাপুটে মার্শালদের’ মধ্যে গড়ে উঠেছিল বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় মনোভাবের দরুণ তাদের এই সুপ্ত আকাক্সক্ষা শীতল হতে থাকে। ১১-১৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের উত্থাপিত ‘যুদ্ধ কাউন্সিল’ প্রস্তাব যখন বাতিল হয়ে যায়- তখন রাজনৈতিক কর্তৃত্বের অধীনে তাদের যুদ্ধ পরিচালনা করা ব্যতীত অন্যকোনো বিকল্প ছিল না।
জাতীয়, আন্তর্জাতিক এবং বাস্তব অবস্থার কারণে অনন্যোপায় হয়ে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার ১১৪ দিনের মাথায় বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর অধিনায়কগণ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৭ জুলাই বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে শপথগ্রহণ করেন। অবশ্য বলতে হবে এদের মধ্যে অনেকেই প্রতিরোধ যুদ্ধে রণাঙ্গনে ব্যতিব্যস্ত ছিলেন।
আগামীকাল প্রকাশিত হবে
‘যুদ্ধকৌশল, গোড়াতেই ভুল’
‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’- বইটি পাওয়া যাচ্ছে ভোরের কাগজ প্রকাশনে (ভোরের কাগজ কার্যালয়, ৭০ শহীদ সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা)।
এছাড়া সংগ্রহ করা যাবে নযড়ৎবৎশধমড়লঢ়ৎড়শধংযধহ.পড়স থেকেও।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়