করোনা আপডেট : মৃত্যু বেড়েছে শনাক্ত কমছে

আগের সংবাদ

নৌকা বেহাত, আছে বিদ্রোহীও

পরের সংবাদ

মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী : সার্চ কমিটির পদ্ধতি আইনের অনেকটা কাছাকাছি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১১, ২০২১ , ১:২০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন এখনো না হওয়ায় রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করে যেভাবে নিয়োগ দিচ্ছেন, সে পদ্ধতিটিও ‘আইনের কাছাকাছি’ বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের সময় ঘনিয়ে আসায় তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার মধ্যে গতকাল রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, হয়তো-বা সার্চ কমিটি গেজেটেড, এটা আইন নয়, যেহেতু সবার কনসেনসাসের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি এটা করেছেন, এটা আইনের কাছাকাছি। কারণ, এটা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছে। আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে পাঁচ সদস্যের বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে তাদের পর যে কমিশন গঠিত হবে ২০২৩ সালের শেষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ভার থাকবে তাদের ওপরই।
নতুন ইসি গঠন নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রাষ্ট্রপতি একটা সার্চ কমিটি করবেন। তার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। আইন না করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে এক প্রতিক্রিয়ায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটা জনগণের সঙ্গে ‘ধোঁকাবাজি’।
বিএনপির সমালোচনার জবাবে আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন করেছে, করে যাবে, তাদের (বিএনপি) সেটা নিয়ে ভীত হওয়ার কোনো কারণ নাই। রাষ্ট্রপতি নাম চান সব দলের কাছে। তাদের দেয়া প্রস্তাব থেকেও কিন্তু ১৫ ফেব্রুয়ারি যে কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে, সেখানে একজন আছেন। সে ক্ষেত্রে আমি বলছি, বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের উন্মোচন করতে তদন্ত কমিশন গঠনের কাজ ‘শুরু হয়ে গেছে’ বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারে রাষ্ট্রপক্ষের এই প্রধান কৌঁসুলি বলেন, তদন্ত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়ার পরপরই সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ মহামারি দেখা দেয়। এই সময়ে কমিশন নিয়ে ব্যস্ত থেকে কোভিড মোকাবিলা না করলে ‘সেটা বোধ হয় বিবেচকের কাজ হতো না’। আমরা ইতোমধ্যে কাজ করা শুরু করেছি। এটার অবকাঠামো কী হবে, এটা কোন আইনের আওতায় থাকবে বা নতুন কোনো আইনের প্রয়োজন হবে কিনা, এটা পরিধি কেমন হবে- এগুলোর খসড়া তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে।
তদন্তের আওতার বিষয় ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এখন যেটা প্রয়োজন, যারা এই ষড়যন্ত্রের মধ্যে ছিলেন, তারা অনেক অপরাধের সঙ্গে জড়িত। শুধু হত্যার অপরাধের সঙ্গে তারা জড়িত নয়। তারা এই ঘটনার পরে বাংলাদেশের ইতিহাস পরিবর্তন বা বিকৃত করার অপরাধ করেছেন। তারা এই অপরাধটার যাতে বিচার না হয়, সেই আইন করার অপরাধ তারা করেছে। এজন্য অবশ্যই নতুন প্রজন্ম এবং এখনকার প্রজন্মকে

বাংলাদেশের ইতিহাস সঠিকভাবে জানানো প্রয়োজন।
আইনমন্ত্রী বলেন, যেটা প্রধানমন্ত্রীর চাওয়া, এই কমিশন কিন্তু কোনো প্রতিহিংসামূলক নয়। এই কমিশন হচ্ছে যে, বিকৃত ইতিহাসকে ফেলে দিয়ে সত্য যে ইতিহাস সেটাকে সঠিক পথে চালিত করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সেটা সম্পর্কে জ্ঞাত করা। এটার পরিধিগত ব্যাপার আছে, গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ব্যক্তিদের নিয়ে এটা করা উচিত। সেসব কারণে এটার অবকাঠামোগত আলাপ-আলোচনা সেটার কাজ চলছে।
বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যাতে ‘অপব্যবহার’ না হয়, সেজন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এই আইনের মাধ্যমে সাংবাদিক হয়রানির বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে কোনো সাংবাদিককে যাতে অন্যায়ভাবে হয়রানি করা না হয়, সেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। হয়রানি করতে চাইলে তার বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করার ক্ষেত্রে পুলিশের বিশেষ সেলের সুপারিশ নেয়ার পদক্ষেপটি জোরদার করা হবে বলেও আশ্বাস দেন আইনমন্ত্রী।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়