করোনা আপডেট : মৃত্যু বেড়েছে শনাক্ত কমছে

আগের সংবাদ

নৌকা বেহাত, আছে বিদ্রোহীও

পরের সংবাদ

দোকান দখলের চেষ্টা : ভুক্তভোগী, প্রবাসী ও মৃত ব্যক্তির নামে মামলা!

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি দোকানে হামলা চালিয়ে মারধর করে দোকানের ভেতর দুইজনকে আটকে রাখার ঘটনায় উল্টো তাদের নামে, বিদেশে অবস্থানকারী প্রবাসী এবং মৃত ব্যক্তির নামে মামলা করেছেন হামলাকারীরা। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, সীতাকুণ্ড পৌরসভার উত্তর বাজারে জ্বালানি কাঠের ব্যবসা করেন কামরুল ইসলাম। প্রভাবশালীরা একমাস ধরে দোকানটি বন্ধ করে দেয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।
ওই প্রভাবশালীদের দেয়া মামলা ও হামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কামরুল। সীতাকুণ্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলায় আসামির মধ্যে একজন মৃত এবং অপর একজন প্রবাসী।
কামরুল ইসলাম জানান, ২০১২ সালে ছয় লাখ টাকায় দোকানটির দখলস্বত্ব কিনে নেন তিনি। তবে বাজারের কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী দোকান ভাড়ার জাল চুক্তিনামা তৈরি করে তাকে দোকান থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছে। দোকানের মালিকানা নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে কামরুল অদালতে মামলা করেন। মামলাটি পিবিআই’তে তদন্তাধীন থাকার মধ্যে গত ১২ সেপ্টেম্বর দোকানটির পূর্ববর্তী দখলিস্বত্বাধিকারী স্বপন দাশ ও তপন দাশ দোকানটিতে জোরপূর্বক তালা লাগিয়ে দেয়। পরে কামরুল বিষয়টি আদালতকে অবহিত করলে আদালত ১৪৫ ধারা জারি করেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে কামরুলের ভাইরা দোকান খুলে ব্যবসা শুরু করলে বাদ সাধে স্বপন ও তপন। ওই দিন দুপুরে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালিয়ে কামরুলের দুই ভাই সালাউদ্দীন ও আতিককে দোকানের ভেতরে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে লোহার রড ও এঙ্গেল দিয়ে ওয়েল্ডিং করে দেয়। ভেতরে আটকে পড়া সালাউদ্দিন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’এ কল দেয়ার পরও থানা থেকে তাদের উদ্ধারে পুলিশ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। তিনঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার হন তারা।
এ ঘটনায় সালাউদ্দিন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ তাদের ফিরিয়ে দেন। তবে যারা সেদিন হামলা চালিয়েছিল উল্টো তারাই ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। স্বপন দাশের করা মামলায় ছয়জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮-১০ কে আসামি করা হয়। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকা কামরুল, দোকানে অবরুদ্ধ থাকা সালাউদ্দিন ও আতিক এবং ঘটনার

সময় কুয়েতে অবস্থানরত শামসুদ্দিন ও ২০১৩ সালে মৃত্যুবরণ করা শফিকুল ইসলামকে আসামি করা হয় মামলায়।
মামলার এজাহারে এমন অসংগতির বিষয়ে জানতে চাইলে বাদি স্বপন দাশ ভোরের কাগজকে বলেন, আমি এখন পারিবারিক সমস্যায় আছি। এই বিষয়ে এখন কথা বলতে চাচ্ছি না।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, দোকানের ভেতরে মানুষকে আটকে রেখে বাইরে তালা লাগিয়ে দেয়া ফৌজদারি অপরাধ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়