কাগজ প্রতিবেদক : চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী দুই সাংবাদিক ফিলিপাইনের মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ার দিমিত্রি মুরাতফকে অভিনন্দন জানিয়ে তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একজন সাংবাদিক অকুতোভয়ে বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে কাজ করলে দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্র উপকৃত হয়। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের পক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবকে উপহার দেয়া গাড়ির চাবি হস্তান্তর করা হয়।
তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন তথ্য ও স¤প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিনের হাতে গাড়ির স্মারক চাবি হস্তান্তর করেন।
ড. হাছান সাংবাদিকদের বলেন, ৮৬ বছর পর দুইজন সাংবাদিক নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন। এজন্য তারা সবার অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য। তারা সমস্ত ভয়ভীতি লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে সত্য প্রকাশের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, সারা বিশ্বের সাংবাদিকরা এতে উৎসাহিত হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকদের অনেক ক্ষমতা। সমাজের অনুন্মোচিত বিষয়, মানুষের অব্যক্ত বেদনা তারা তুলে ধরতে পারেন। প্রান্তিক পর্যায়ের সাংবাদিকরা এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। সাংবাদিকদের এই কাজে দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্র উপকৃত হয়।
প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, সাংবাদিকদের গাড়ি দেয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা মহামারি মোকাবিলা করে বিশ্বের সেরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উপনীত হয়েছেন।
মোহাম্মদ এবাদুল করিম এ সময় তার এলাকার সাংবাদিকদের প্রশংসা করেন। র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সাংবাদিকদের গাড়ি দেয়াকে সাধুবাদ জানান।