কাগজ প্রতিবেদক : মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দুই মাসব্যাপী ১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী আগামী বছরের ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় এ প্রদর্শনী চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এতে বিশ্বের ১০১টি দেশের প্রতিশ্রæতিশীল ও খ্যাতনামা শিল্পীরা অংশ নেবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে প্রচার উপকমিটির সভায় এ তথ্য জানান শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- শিল্পকলা একাডেমির সচিব মো. আসাদুজ্জামান, চিফ কো-অর্ডিনেটর মোস্তফা জামান মিঠু, জিটিভির এডিটর-ইন-চিফ সৈয়দ ইসতিয়াক রেজা, এনটিভির চিফ নিউজ এডিটর জহিরুল আলম, ভোরের কাগজের চিফ রিপোর্টার খোন্দকার কাওছার হোসেন, বিটিভির ডিজাইন ডিরেক্টর আহসানুল আলম, দীপ্ত টিভির অঘোর মণ্ডল, এটিএন বাংলার মহিবুল ইসলাম, ডিবিসি নিউজের সাবিনা ইয়াসমীন পুতুল ও মাছরাঙা টেলিভিশনের অজয় সরকার। সভায় জানানো হয়, প্রদর্শনীতে চিত্রকলা, ছাপচিত্র, আলোকচিত্র, ভাস্কর্য, স্থাপনাশিল্প ও নতুন মাধ্যমের শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়ে থাকে। দেশি-বিদেশি চারুশিল্পীরা এসব শিল্পকর্মের মাধ্যমে তাদের সমকালীন চিন্তা-ভাবনাকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন। দেশি-বিদেশি শিল্পী, শিল্প সমালোচক, জুরি, পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণে দুই দিনব্যাপী সেমিনারসহ দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক শিল্পগুলো প্রদর্শনীতে স্থান পাবে। এছাড়া থাকবে দেশি-বিদেশি চারুশিল্পীদের নৌভ্রমণ, বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানগুলো পরিদর্শন, আর্টিস্ট ক্যাম্প সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রদর্শনী সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য একটি জাতীয় কমিটি, একটি বাস্তবায়ন কমিটি এবং ২৮টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী ১৯৮১ সাল থেকে ৪ দশক ধরে বিরতিহীনভাবে আয়োজন করা হয়, যা এশিয়া মহাদেশের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক চারুকলা উৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় শিল্পকলা একাডেমি এই আন্তর্জাতিক চারুকলা উৎসবের আয়োজন করে আসছে।