বিজিএমইএ সভাপতি : বন্ধ মিল চালু হলে ফেব্রিক্সের চাহিদা মেটানো সম্ভব

আগের সংবাদ

খাদ্য নিরাপত্তাই প্রধান চ্যালেঞ্জ : সরকারি হিসাব মতে, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তবুও চালসহ খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয়

পরের সংবাদ

প্রাথমিকের সমাপনী পরীক্ষা বাতিল প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষা সমাপনী পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, পঞ্চম শ্রেণির পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা নেয়া আমাদের জন্য কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবনা হিসেবে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পাওয়া গেলে এই পরীক্ষা বাতিল হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা না নিলেও সিলেবাস শেষ হলে নিজ নিজ ক্লাসে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে। বার্ষিক পরীক্ষার মূল্যায়নের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীরা পরের ক্লাসে উত্তীর্ণ হবে। এই প্রস্তাব পাঠানোর আগেই অবশ্য পঞ্চম শ্রেণির পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা বাতিল করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলেই এটি পুরোপুরি কার্যকর করা হবে। সেক্ষেত্রে এই পরীক্ষা থাকবে কিনা- এই সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহের মধ্যে জানানো হতে পারে।
করোনা মহামারিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে গত বছরে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এ বছর এখন পর্যন্ত পরীক্ষাটি আয়োজনে কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না সরকার। তবে এসব পরীক্ষার বদলে পুরনো নিয়মে বার্ষিক পরীক্ষা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চম শ্রেণির পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা বাতিল করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা বাতিলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হতে পারে।
করোনার কারণে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেড় বছর বন্ধ ছিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শেষ করা সম্ভব হয়নি পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিত সিলেবাস। এ কারণে বাতিল হতে পারে পাবলিক পরীক্ষার আদলে হওয়া চলতি বছরের পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা। সাময়িক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেয়ার চিন্তা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সীমিত পরিসরে স্কুল-কলেজে পাঠদান শুরু হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিদিন সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিখন জ্ঞান অর্জনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তত্ত্বাবধানে তিন মাসের একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করে তা পড়ানো হচ্ছে। অন্য ক্লাসের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন ও দুদিন করে ক্লাস নেয়া হলেও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে ছয়দিন দুটি বিষয়ের ক্লাস করানো হচ্ছে।
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি চলতি বছরের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা বাতিল করায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও বোর্ড পরীক্ষা নেয়ার চিন্তাভাবনা থেকে সরে এসেছে। বার্ষিক বা সাময়িক পরীক্ষা নিয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, পঞ্চম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা না নিলেও সিলেবাস শেষ হলে নিজ নিজ ক্লাসে সাময়িক পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করে সার্টিফিকেট দেয়া হবে। সেই সার্টিফিকেট নিয়ে শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হবে। অষ্টম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিলে বিভিন্ন মহল থেকে আমাদের ওপর চাপ আসছে। সব দিক বিবেচনা করে পরীক্ষা বাতিলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা কাউকে অটোপাস দিতে চাই না, ন্যূনতম পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দিতে চাই। অন্যথায় অটোপাস দেয়া হলে সমাজে এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়। শিক্ষার্থীদের নানাভাবে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়