গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব : শিল্পকলায় দ্বিতীয় দিনে ছিল দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়

আগের সংবাদ

জাতিসংঘ থেকে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার নেপথ্যে আন্তর্জাতিক নিষ্ক্রিয়তা

পরের সংবাদ

নেপথ্য কথা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পরাধীন ব্রিটিশ-ভারত থেকে পাকিস্তানের কালো অধ্যায় পেরিয়ে জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের। এই মহান অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের মোড় ঘোরানো নানা ঘটনা, যার কারিগর হিসেবে কেউ আখ্যায়িত হয়েছেন নায়কের অভিধায়; কেউবা আবির্ভূত হয়েছেন খলনায়কের চরিত্রে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে সেসব ঘটনা ও তার নায়ক-খলনায়কদের কার কী ভূমিকা, তাই নিয়েই অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গ্রন্থ ‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’। স¤প্রতি ভোরের কাগজ প্রকাশন থেকে বের হয়েছে বইটি। এ বই থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন কিছু অংশ তুলে ধরা হচ্ছে ভোরের কাগজের পাঠকদের জন্য।
বাংলাদেশে আটক ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য ১৬ ডিসেম্বর ’৭১ যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে। কিসের জন্য পাকিস্তানি বন্দিদের ছেড়ে দিতে রাজি হয়ে যান ইন্দিরা? এর পেছনে আসল উদ্দেশ্য কী ছিল? সেই বিষয়টি রয়ে গিয়েছিল গোপনই। কোনোদিন তা প্রকাশ্যে আনা হয়নি। প্রায় অর্ধশত বছর পেরিয়ে গিয়েছে সেই যুদ্ধের। সেদিন কেন পাকিস্তানি বন্দিদের ছেড়ে দেয়া হয়েছিল, সেই রহস্য উদঘাটন করেছেন এক অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিবিদ শশাঙ্ক বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘দ্য ওয়ার’ পত্রিকায় তিনি লিখেছেন সেই ইতিহাস।
১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি যোদ্ধারা ভারতীয় সেনা ও বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে। ভারত আর বাংলাদেশের জন্য সে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কিন্তু সেসময় ইন্দিরা গান্ধী তথা ভারত অন্য এক বিপদের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
১. একদিকে যুদ্ধের বিপুল খরচ।
২. পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসা প্রায় ১ কোটি শরণার্থী; যারা পাকিস্তানি সেনার অত্যাচারে সীমান্ত পার হয়ে চলে এসেছিল, তাদের খরচ।
৩. তার মধ্যেই বাড়তি খরচের কারণ হয়ে দাঁড়াবে এই ৯৩০০০ পাকিস্তানি সেনা।
ইন্দিরা গান্ধীর মূল লক্ষ্য হয়ে উঠেছিল, কীভাবে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিরাপদে দেশে ফেরানো যায়। তার জন্য যে কোনো মূল্য দিতে রাজি ছিলেন তিনি। সে কথা তিনি একজনকেই বলেছিলেন। তিনি হলেন তৎকালীন ‘র’ প্রধান রামনাথ কাও।
পাকিস্তানের মিলিটারি ক্যামেরা কোর্টে ফাঁসির সাজা দেয়া হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে, নৃশংসভাবে হত্যা করার পরিকল্পনাও করা হয়েছিল। সেটিই ছিল ইন্দিরা গান্ধীর সব থেকে বড় দুঃস্বপ্ন। হৃদয় দিয়ে বাংলাদেশকে সমর্থন করেছিল ভারত। তাই মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হলে, ভারতের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে। এটাই ছিল ভয়। বাংলাদেশকে ‘অনাথ’ দেখতে চাননি তিনি।
এদিকে পরাজয়ের অপমান সহ্য করতে না পেরে পদত্যাগ করেন তৎকালীন পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান। আমেরিকায় থাকা জুলফিকার আলী ভুট্টোকে ফোন করে সে কথা জানান। দায়িত্ব দিয়ে যান ভুট্টোকেই। তড়িঘড়ি রাওয়ালপিন্ডির বিমান ধরেন ভুট্টো।
আগামীকাল প্রকাশিত হবে ‘অবিস্মরণীয় কূটনীতি’
‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’- বইটি পাওয়া যাচ্ছে ভোরের কাগজ প্রকাশনে (ভোরের কাগজ কার্যালয়, ৭০ শহীদ সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা)। এ ছাড়া bhorerkagojprokashan.com থেকেও সংগ্রহ করা যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়