গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব : শিল্পকলায় দ্বিতীয় দিনে ছিল দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়

আগের সংবাদ

জাতিসংঘ থেকে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার নেপথ্যে আন্তর্জাতিক নিষ্ক্রিয়তা

পরের সংবাদ

গণপরিবহন সংকটে যাত্রীদের ভোগান্তি : অভিযানের ভয়ে সটকে পড়ে চলাচলরত বাস-মিনিবাস

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৪, ২০২১ , ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : হঠাৎ করেই দুপুর থেকে রাজধানীতে গণপরিবহন সংকট শুরু হয়। গতকাল রবিবার দুপুরে রুট পারমিটবিহীন বাস জব্দ করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অভিযানের খবর পেয়েই মালিকরা সড়ক থেকে বাস তুলে নিলে গণপরিবহনের সংকট সৃষ্টি হয়। এ কারণে দিনভর যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
জানা গেছে, রুট পারমিটবিহীন বাস-মিনিবাস জব্দ করতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির ত্রপার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুতি নেয়। মোবাইল কোর্টের সঙ্গে বিআরটিএ, ডিএমপি প্রতিনিধি ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা, পুলিশ ও সাংবাদিকরা মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের সামনে জড়ো হয়। তখনই বাসের লোকজন অভিযানের খবর যানতে পেরে সটকে পড়ে। রাজধানীর ব্যস্ততম মতিঝিল এলাকার সড়কগুলো ফাঁকা হয়ে যায়। রুট পারমিট নেই এমন সব বাস ও মিনিবাসগুলো অদৃশ্য হয়ে যায়। ডিএসসিসি’র মোবাইল কোর্ট মতিঝিলে গিয়ে বাসের সংখ্যা কম দেখে গুলিস্তানে চলে যায় এবং অভিযান শুরু করে। কিন্তু ততক্ষণে এই এলাকা থেকেও রুট পারমিটবিহীন বাসগুলো সরে পড়ে। যেসব বাসের কাগজপত্র খতিয়ে দেখেছে তার সবগুলোরই বৈধ পারমিট ছিল।
ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের জানান, গত শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মোবাইল কোর্টের অভিযানের বিষয়ে জানিয়ে দেয়া হয়। ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’ কমিটির ১৭তম সভার সিদ্ধান্তের আলোকে রুট পারমিটবিহীন বাস ও মিনিবাস চলাচল বন্ধে এ অভিযান চালানো হয়।
বিকল্প বাসের স্টাফ একরাম জানান, দুপুরে মতিঝিলে অনেক বাস থাকে। কিন্তু রুট পারমিটবিহীন বাসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার কথা শুনে বাস কমে গেছে। যাদের কাগজপত্র আছে শুধু তারাই সড়কে আছে।
এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মোহাম্মদপুরের বসিলা ব্রিজ এলাকায় বাস রুট রেশনালাইজেশনের

আওতায় বিআরটিএ ও ডিএনসিসির যৌথ উদ্যোগে চলমান বাসের ফিটনেসসহ রুট পারমিট পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শুরু হয়। এ কারণে ওই এলাকাতেও সড়ক থেকে অনেক বাস ও মিনিবাস মালিকরা সরিয়ে নিয়েছে।
এদিকে গণপরিবহন সংকটের কারণে দিনভরই যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোকজনকে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। আবার একটি বাস এসে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে লোকজনকে হুমড়ি খেড়ে পড়তে দেখা গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়