তেজগাঁওয়ে বাসায় রহস্যজনক বিস্ফোরণে দুই শিক্ষার্থী দগ্ধ

আগের সংবাদ

১৫ সদস্যের দলে আট নতুন মুখ : আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে টাইগাররা

পরের সংবাদ

সেলিম রিমান্ডে : মুহিবুল্লাহ হত্যায় আরো ২ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার ও উখিয়া প্রতিনিধি : শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন আরো দুই রোহিঙ্গাকে আটক করেছে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা। আটককৃতরা হলো- জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালাম। শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে এপিবিএনের একটি টিম উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। গতকাল শনিবার সকালে দুজনকেই উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৪ এপিবিএনের পুলিশ সুপার নাঈমুল হক বলেন, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুই রোহিঙ্গাকে আটকের পর মামলার বাদী হাবিবুল্লাহ তাদের চিহ্নিত করেন। পরে সকালে তাদের উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে আগের দিন শুক্রবার গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ প্রকাশ লম্বা সেলিম ও শওকত উল্লাহর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উখিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কার্তিক চন্দ্র পাল জানান, মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সেলিম ও শওকতকে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আদালত রবিবার (আজ) রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে কুতুপালং ক্যাম্প-৬ থেকে সেলিম উল্লাহ প্রকাশ লম্বা সেলিমকে গ্রেপ্তার করে এপিবিএন সদস্যরা। যা গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়। কিন্তু সেদিন সকালেই শওকত উল্লাহকে কুতুপালং ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-ব্লক থেকে গ্রেপ্তার করেছিল উখিয়া থানা পুলিশ। যদিও তা গণমাধ্যমে আসেনি। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোরশেদ এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়াস্থ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইটসের কার্যালয়ে ঢুকে সংগঠনটির চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে ৫ রাউন্ড গুলি চালায়। এ সময় তিন রাউন্ড গুলি তার বুকে লাগে। পরে এপিবিএন সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ‘এমএসএফ’ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়