নলডাঙ্গা : আ.লীগ-বিএনপি নেতাসহ আটক ১১ জুয়াড়ি

আগের সংবাদ

উন্নয়নের ভোগান্তি আর কত : কোনো প্রকল্পই শেষ হয় না নির্ধারিত সময়ে, বছরজুড়েই চলে সেবা সংস্থাগুলোর খোঁড়াখুঁড়ি

পরের সংবাদ

মধ্যপাড়া কঠিন শিলাখনি : দ্বিতীয় দফা ছয় বছরের দায়িত্বে জিটিসিই

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোস্তাফিজুর রহমান বকুল, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) থেকে : পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া কঠিন শিলাখনির উৎপাদন, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছয় বছরের জন্য পুনরায় বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসিকেই দেয়া হয়েছে। নতুন চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৬ বছরে প্রায় ১ হাজার ২৮০ কোটি টাকার বিনিময়ে ৮৮ লাখ ৬০ হাজার টন পাথর উত্তোলন করে দেবে। এতে করে এক টন পাথর উত্তোলন করতে খরচ পড়বে প্রায় ১ হাজার ৪৪৫ টাকা।
জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২৫ মে মধ্যপাড়া কঠিন শিলাখনি বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায়। উৎপাদন শুরুর পর থেকে নানা প্রতিকূলতার কারণে পেট্রোবাংলা প্রতিদিন তিন শিফটে ৫ হাজার টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এক শিফটে গড়ে ১ হাজার টন পাথর উত্তোলন করে আসছিল। এর ফলে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত ৬ বছরে খনিটি লোকসান দিয়েছে প্রায় শত কোটি টাকা। এ অবস্থায় ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ৬ বছরের জন্য খনির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয় বেলারুশের জেএসসি ট্রেস্ট সকটোস্ট্রয় ও দেশীয় একমাত্র মাইনিং কাজে অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া করপোরেশন লিমিটেড নিয়ে গঠিত জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়ামকে (জিটিসি)। জিটিসি পূর্ণমাত্রায় পাথর উৎপাদন করায় পর পর টানা তিন অর্থবছর প্রায় ৫০ কোটি টাকা মুনাফা করে খনিটি। জিটিসির প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় গত ২ সেপ্টেম্বর। নিয়ম অনুযায়ী চুক্তি শেষ হওয়ার অন্তত ৬ মাস আগে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেয়ার কথা। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে ৭ দফা আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেও বিদেশিদের তেমন সাড়া মেলেনি। এ অবস্থায় খনির পাথর উৎপাদন অব্যাহত রাখার স্বার্থে এবং জিটিসির পারফরমেন্স বিবেচনায় নিয়ে গত মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। তবে চুক্তি কার্যকর করা হয় গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে।
মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (এমজিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু দাউদ মো. ফরিদুজ্জামান চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি নিশ্চিত করে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভোরের কাগজকে জানান, পেট্রোবাংলা, জ¦ালানি মন্ত্রণালয়সহ সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সহযোগিতায় নতুন চুক্তি করতে পারায় খনি শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সন্তুষ্ট। সবার সহযোগিতা থাকলে বর্তমান লক্ষ্যমাত্রা ৮৮ লাখ ৬০ হাজার টন পাথর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়