হাসেম ফুডে অগ্নিকাণ্ড : ৩ মাস পর দগ্ধ ছেলের মরদেহ পেলেন বাবা

আগের সংবাদ

রোহিঙ্গাদের অস্ত্র-অর্থের উৎস কী

পরের সংবাদ

মো. মতিয়ার রহমান মেয়র, আমতলী পৌরসভা > নাগরিকদের আধুনিক সুযোগ সুবিধা প্রদানই আমার লক্ষ্য

প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হারুন-অর রশিদ, আমতলী (বরগুনা) থেকে : উপকূলীয় বরগুনা জেলার প্রথম শ্রেণির আমতলী পৌরসভার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সর্বোপরি পৌর নাগরিকদের অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বলে বলেছেন আমতলী পৌরসভার মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আমতলী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. মতিয়ার রহমান।
মতিয়ার রহমান ২০১১ সালে পৌর মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে পৌর নাগরিকদের সমস্যা সমাধানের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এরই ফলশ্রæতিতে ২০১৯ সালে আ.লীগ সরকার তাকে মনোনয়ন দেয়ায় দ্বিতীয়বার বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।
১৯৯৮ সালের ১৫ অক্টোবর আমতলী পৌরসভা স্থাপিত হয়। ২০১৩ সালে এটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। আমতলী পৌরসভার বর্তমান আয়তন ৮.৭৫ বর্গকিলোমিটার, জনসংখ্যা ৩০ হাজার (প্রায়), ওয়ার্ড ৯টি, হোল্ডিং সংখ্যা ৫ হাজার ৬৮০।
ভোরের কাগজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের শুরুতে মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, প্রথমেই আমি ধন্যবাদ জানাই সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে, বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে ও কৃতজ্ঞতা জানাই আমতলী পৌরবাসীকে। দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের সব জেলার মধ্যে আমতলী পৌরসভার পৌর ভবনের সামনে জাতির জনকের স্মৃতি স্মরণে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল স্থাপন করি। আমি নির্বাচিত হয়ে

দৃষ্টিনন্দন পৌর ভবন, পৌর শহরে পাকা ৩০ কিলোমিটার, কাঁচা ১৫ কিলোমিটার, ড্রেন ১৫ কিলোমিটার ৪টি, আয়রন ব্রিজ ৪টি, আরসিসি ব্রিজ ৮টি, বক্স কালভার্ট ৩০টি, ৪২ কিলোমিটার পানির পাইপলাইন, উৎপাদন নলকূপ ৪টি, পাম্প হাউজ ৩টি ও ওভার হেড ট্যাংক ২টি নির্মাণ করেছি।
এছাড়া অন্ধকারাচ্ছন্ন পৌরসভাকে আলোকিত করার জন্য ৯০টি খুঁটিতে পল্লী বিদ্যুৎ ও সোলার লাইটের ব্যবস্থা করেছি। পৌর নাগরিকদের নিরাপদ জীবনযাত্রার জন্য বাসস্ট্যান্ড, পায়রা নদীর ঘাট, মাছ বাজার, পৌর এসি মার্কেট, কবরস্থান, শ্মশানঘাট নির্মাণসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে সিটিইআইপি, সিসিটিএফ, আইইউডিআইপি, এডিপির কাজ চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচিত সংসদীয় আসনের (২০০১ সালে) উন্নয়নে মাস্টার প্ল্যানে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্যকর ও উন্নত জীবনযাপন করার জন্য আমতলী পৌর মেয়র সদা প্রস্তুত। এরই উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭৩ কোটি ৬০ লাখ ৪১ হাজার ৫০৩ টাকার বাজেট ধরা হয়েছে। ভবিষ্যতে আমতলী পৌরসভায় শিশুদের বিনোদনের জন্য শিশুপার্ক, পায়রা নদীর পাড়ে বঙ্গবন্ধু শান্তিপার্ক, স্টেডিয়াম, ব্যায়ামাগার তৈরি ও বঙ্গবন্ধু লেকে গ্রীষ্মকালীন বৈকালিক বসা ও বিনোদনের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা চলছে।
মেয়র আরো বলেন, গরিব, অভাবগ্রস্ত শিক্ষার্থী, অসহায় রোগীদের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার ও আমি তাদের স্বাবলম্বী করার জন্য সচেষ্ট রয়েছি। এটাই ছিল আমার নির্বাচনী অঙ্গীকার। আমতলী পৌরসভায় ৩০ হাজার নাগরিক রয়েছে। দুস্থ ও অসহায়দের জন্য আলাদা কোনো প্রকল্প নেই, রাজস্ব বরাদ্দ থেকে প্রতি বছর দুস্থ ও অসহায়দের জন্য আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। আগামী দুয়েক বছরের মধ্যে পৌর শহরকে যানজট নিরসন, জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রত্যেক ওয়ার্ডে ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালুসহ সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করে একটি আধুনিক মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এছাড়া স্থানীয় নাগরিক কমিটির সমন্বয় বিভিন্ন পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পরিশেষে ভোরের কাগজকে ধন্যবাদ জানান আমতলী পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়