ই-অরেঞ্জের সাবেক সিওও রাসেল রিমান্ডে

আগের সংবাদ

যাত্রীসেবার মান তলানিতে : সড়ক আইন প্রয়োগে উদাসীনতা > নির্দেশনা দিয়েই দায়িত্ব শেষ কর্তৃপক্ষের

পরের সংবাদ

কাবুলের পথে তালেবান সর্বোচ্চ কমান্ডার হিবাতুল্লাহ আখুনজাদা

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : তালেবানের বর্তমান প্রধান হিবাতুল্লাহ আখুনজাদা ২০১৬ সালের ২৫ মে থেকে প্রায় ৫ বছর ধরে সংগঠনটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। একটি মাত্র পাসপোর্ট সাইজের ছবি ছাড়া এখন পর্যন্ত কেউ তাকে চোখে দূরে থাক, ভিডিও ফুটেজেও দেখেনি। সবশেষ তাকে দেখা যায় পাকিস্তানের করাচির এক সেফ হাউসে। তবে কাবুল দখলের দুসপ্তাহ পরও তাকে দেখা যায়নি, কিংবা তার কোনো খবরও মেলেনি। তবে তালেবানের জ্যেষ্ঠ নেতারা বলেছেন, তালেবানরা যে নতুন সরকার গঠন করতে যাচ্ছে সেখানে ৬০ বছর বয়সি হিবাতুল্লাহ আখুনজাদার মর্যাদা হবে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার সমপর্যায়ের। ২০১৭ সালে বিবিসির এক প্রতিবেদনে তার উত্থানের কথা প্রথম জানতে পারে বিশ্ববাসী। এতে বলা ছিল, আফগান তালেবান নেতা হিবাতুল্লাহ আখুনজাদা বেশি করে গাছ লাগানোর জন্য তালেবান যোদ্ধা ও আফগান জনগণকে পরামর্শ দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলছেন, পৃথিবীর সৌন্দর্যের স্বার্থে এবং মহান আল্লার সৃষ্টির খেদমতে এক বা একাধিক ফলের বা যে কোনো গাছ লাগান। পরিবেশ রক্ষায় সে যুগেও তালেবানের কাছ থেকে বিরল ছিল এ ধরনের বিবৃতি। (যদিও এখন পর্যন্ত একমাত্র যে কৃষিকাজের সঙ্গে তালেবানের সম্পৃক্তির কথা সবচেয়ে বেশি শোনা যায়, সেটি হচ্ছে অবৈধ আফিম চাষ।)
সেদিনের সেই হিবাতুল্লাহই আজ দুনিয়া কাঁপানো তালেবান বাহিনীর দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। আর এই প্রথমবারের মতো তার ব্যাপারে মুখ খুলেছেন তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, শীর্ষ নেতা আখুনজাদা বেশ কয়েক দিন ধরে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার অবস্থান করছিলেন। তবে এ মুহূর্তে তিনি রাজধানী কাবুলের পথে রওনা হয়েছেন। যে কোনো সময় প্রকাশ্য জনসমক্ষে হাজির হবেন তিনি। খবর বিবিসি, আলজাজিরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তালেবানের উপমুখপাত্র বিলাল করিমিও বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আমি নিশ্চিত করে বলছি যে, তিনি কান্দাহারে রয়েছেন। দ্রুতই তিনি জনসমক্ষে আসবেন। গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করলেও তালেবানের এই শীর্ষ নেতাকে একবারও প্রকাশ্যে দেখা

যায়নি। তিনি কোথায় ছিলেন, কান্দাহারে কীভাবে এলেন এসব কিছুই জানা যায়নি। আফগান রাজনীতিতে গত কয়েক সপ্তাহে এত বড় বড় ঘটনা ঘটে গেলেও কোনো বিবৃতি দিতেও দেখা যায়নি তাকে।
দলের শীর্ষ নেতাকে গোপন রাখার বিষয়টি আফগানিস্তানে নতুন নয়। এর আগেও এমন ঘটেছে। তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমরও এরকম বেশির ভাগ সময়ে কান্দাহারে গোপন অবস্থানে থেকেছেন। আফগানিস্তানে সোভিয়েত আক্রমণের সময় প্রতিরোধ বাহিনীর হয়ে লড়াই করেছেন হিবাতুল্লাহ। তবে উচ্চশিক্ষিত এই আফগান একজন সামরিক কমান্ডারের চেয়ে একজন ধর্মীয় নেতা হিসেবেই তিনি বেশি পরিচিত। ২০১৬ সালে আখতার মোহাম্মদ মনসুর মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হওয়ার পর আখুনজাদাকে তার উত্তরাধিকারী করা হয়। এর আগে তালেবান যখন ক্ষমতায় ছিল তখন হিবাতুল্লাহ আখুনজাদা সে দেশে সর্বোচ্চ আদালতের উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে কাবুল বিমানবন্দরের দিকে ধেয়ে আসা অন্তত ৫টি রকেট মার্কিন বাহিনী নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা। গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় সকালে এসব রকেট হামলা হয় বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা। তবে যতগুলো রকেট উড়ে এসেছে, তার সবই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা নিষ্ক্রিয় করতে পেরেছে কিনা, তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এর আগে গত বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আইএসের আফগান শাখা আইএসআইএস-কের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ ১৭০ জন নিহত ও দুই শতাধিক আহত হয়। কাবুলে বিমানবন্দরে আরো হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জো বাইডেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়