ই-অরেঞ্জের সাবেক সিওও রাসেল রিমান্ডে

আগের সংবাদ

যাত্রীসেবার মান তলানিতে : সড়ক আইন প্রয়োগে উদাসীনতা > নির্দেশনা দিয়েই দায়িত্ব শেষ কর্তৃপক্ষের

পরের সংবাদ

ঈশ্বরগঞ্জে ডিলাররা মালামাল তুললেও মাঠে নেই টিসিবি

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ঈশ্বরগঞ্জে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে টিসিবি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকার পরও ডিলারদের মালামাল উত্তোলন-বিতরণে কার্যক্রম নেই। ৫ জন ডিলারের নাম তালিকায় থাকলেও মালামাল বিতরণে মাঠে নেই কেউ।
জানা যায়, করোনাকালে লকডাউনে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ চরম সংকটে পড়েছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে। সারাদেশে ন্যায্যমূল্যে টিসিবির মালামাল বিক্রি হলেও ঈশ্বরগঞ্জে এর কোনো কার্যক্রম নেই। কাগজে-কলমে তালিকায় ডিলার ও তদারকি কর্মকর্তার নাম থাকার পরও কে মালামাল তুলেন, কে বিক্রি করেন, কোথায় বিক্রি করেন কেউ তা বলতে পারেন না। ১০ থেকে ১৫ বছর পূর্বে বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতা ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এবং তদবিরের মাধ্যমে ডিলার হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু ডিলারশিপ ঠিক রাখার জন্য কাগজপত্রে মাল উত্তোলন হলেও সাধারণ মানুষ তা পাচ্ছে না।
রিকশা, ভ্যানচালক, দিনমজুরদের সঙ্গে কথা হলে তারা অনেকেই হতাশা প্রকাশ করে বলেন, রমজান মাসে টিসিবির পণ্য দেয়ার বিষয়টি প্রতি বছরেই শুনি। কিন্তু গিয়ে আর পাওয়া যায় না। এছাড়া কখনো টিসিবির মাল দেয়া হয়েছে বলে তাদের জানা নেই।
টিসিবির তালিকায় নাম থাকা আলভি এন্টারপ্রাইজের প্রো. মাজহারুলের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ডিলারের তালিকায় নাম থাকলেও আমি তা চালাই না। মালামাল উত্তোলন বা বিতরণের বিষয়টি আমি বলতে পাব না। তবে আমার ভাই হাবিবুল্লাহ মিলন তা পরিচালনা করেন। হাবিবুল্লাহ মিলন জানান, ঈদের পূর্বে মাল বিতরণ করা হয়েছিল।
রাকিব এন্টারপ্রাইজের রুহুল আমিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, টিসিবির লাইন্সেস জমা দিয়েছি। কিছুদিন ধরে মালামাল উত্তোলন করাও হয় না।
মেসার্স শামছুল আলমের প্রো. শামছুল আলম জানান, রোজার মাসে মালামাল উত্তোলন ও বিতরণ করা হলেও পরে নির্বাহী অফিসারের চাহিদা টিসিবিকে না জানানোর কারণে মাল উত্তোলন করা হয়নি।
মেসার্স দৌলত এন্টারপ্রাইজের মোজাম্মেল হক ও মেসার্স মজিবুর রহমান জানান, আগস্ট মাসের শুরুতে পণ্য উত্তোলন ও বিতরণ করা হয়েছে। এতে তদারকি কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন বলে তারা জানান।
ঈশ্বরগঞ্জ পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দরিদ্র লোকজনের জন্য সরকার টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয়ের সুবিধা দিলেও ঈশ্বরগঞ্জে কোনো কার্যক্রম নেই। কে কখন কাকে টিসিবির ও অন্যান্য ডিলার দিয়েছে তার কোনো কিছুই পৌরসভাকে অবহিত করা হয় না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, ডিলার নিয়োগ হয়েছে দীর্ঘদিন পূর্বে। বর্তমানে শহর এলাকায় প্রতি মাসেই ডিলারদের দায়িত্বে টিসিবির পণ্য উত্তোলন করে বিতরণ করা হয়। এখানে চাহিদাপত্রে কোনো বিষয় নেই। সঠিক বিতরণের লক্ষ্যে তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ ও বিতরণ হয়েছে মর্মে একটি প্রত্যয়ন প্রদান করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়