প্রণোদনা ঋণের জন্য ঘুষ লাগে ২৯ শতাংশ ব্যবসায়ীর

আগের সংবাদ

অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে : করোনার প্রকোপ কমার পর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও বিষণ্নতার বড় আঘাত আসছে

পরের সংবাদ

চিলমারীতে পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ

প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উঠতি আমনক্ষেত ও সবজিক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। দীর্ঘ সময় ধরে ডুবে থাকায় আমন ধানের গাছগুলো নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর উপজেলায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলে চাষাবাদ হয়েছে ৭ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে। যার মধ্যে ৩ হাজার হেক্টর জমির আমন ধানের ক্ষেত উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে ডুবে গেছে।
এছাড়া ৩০ হেক্টর সবজিক্ষেতও ডুবে আছে পানির নিচে। তবে কৃষি বিভাগের মনগড়া এ তথ্য মানতে নারাজ কৃষকরা। তাদের দাবি এর চেয়েও দ্বিগুণ আমনক্ষেত পানিতে ডুবে আছে।
জানা গেছে, গত সপ্তাহজুড়ে উজানের ঢলের পানিতে নিম্নাঞ্চল ডুবে যায়। এতে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের নিচু অঞ্চলের সব আমনক্ষেত পানিতে তলিয়ে যায়। টানা ৫-৬ দিন পানিতে ডুবে থাকায় মধ্য সময়ের আমন চারা গাছ পচে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। যার মধ্যে তুলনামূলক উঁচু অঞ্চলের আমনক্ষেতের চারা গাছ দেখা গেলেও নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ ধানক্ষেত এখনো পানিতে ডুবে রয়েছে।
শুধু পানিতে ডুবেই ক্ষতি হচ্ছে না। নিচু অঞ্চলে অনেক আমনক্ষেতে কচুরিপানা ও নানা ধরনের আগাছা ভেসে এসেছে। ফলে পানি কমতে শুরু করলে এসব জমির পরিচর্যা করতেও দীর্ঘ সময় লাগবে। একই সঙ্গে উৎপাদন খরচও বেড়ে যাবে। এছাড়া জমির অনেক চারা গাছ পচে নষ্ট হওয়ায় আমনের উৎপাদনও কমে যাওয়ার শঙ্কা করছেন চাষিরা।
চিলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন, অনেক স্থানে আমনক্ষেত ডুবে আছে। যার মধ্যে কিছু বেঁচে যাবে এবং কিছু পচে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দ্রুত পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে।
এদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ১৮ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের চিলমারী পয়েন্টের গেজ রিডার মো. জোবায়ের রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২ সে.মি. কমলেও পানি স্থির অবস্থায় রয়েছে। পানি বেড়ে উপজেলার নিম্নাঞ্চল ডুবে যাওয়ায় প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়