প্রণোদনা ঋণের জন্য ঘুষ লাগে ২৯ শতাংশ ব্যবসায়ীর

আগের সংবাদ

অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে : করোনার প্রকোপ কমার পর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও বিষণ্নতার বড় আঘাত আসছে

পরের সংবাদ

ইবিতে বৃত্তির টাকা কম দেয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইবি প্রতিবেদক : প্রথম বর্ষের শিক্ষা বৃত্তির টাকা চতুর্থ বর্ষে পেলেও অসন্তোষ দানা বেঁধেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের মাঝে। হিসাব অনুযায়ী প্রাপ্ত টাকার এক-তৃতীয়াংশ কম পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩৪টি বিভাগ। এর মধ্যে ২৫টি (নতুন ৯টি বাদে) বিভাগে মেধা ও সাধারণ দুই ক্যাটাগরিতে শিক্ষাবৃত্তি চালু রয়েছে। প্রতিটি বিভাগের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের মেধবা তালিকায় থাকা প্রথম ছয় শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। চার শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথম তিনজন করে মোট ৩০০ জনকে মেধায় এবং পরের তিনজন থেকে মোট ৩০০ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হয়।
মেধা তালিকায় থাকা একজন শিক্ষার্থীকে মাসিক ১২০ টাকা এবং সাধারণে ১০০ টাকা করে বৃত্তি দেয়া হয়। মেধা তালিকাদের থেকে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের বেতন ফেরত বাবদ ৩০০ এবং কলা ও বাণিজ্যের শিক্ষার্থীদের ১৯২ টাকা বৃত্তির টাকার সঙ্গে যোগ করা হয়। সেই হিসাবে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা এক বর্ষে পান ১ হাজার ৭৪০ টাকা এবং কলা ও বাণিজ্যের শিক্ষার্থীরা ১ হাজার ৬৩২ টাকা। এছাড়া সাধারণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীরা পান বার্ষিক ১ হাজার ২০০ টাকা। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের দিকে বৃত্তির টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন প্রশাসন। ওই বছর পহেলা অক্টোবর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৪২তম সভায় মেধাবৃত্তি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ এবং সাধারণ বৃত্তি ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকার অনুমোদন দেয় প্রশাসন।
সিন্ডিকেট অনুমোদিত হিসাব অনুযায়ী গত বছরের ১৫ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে ৭ এপ্রিলের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা গ্রহণের জন্য আবেদন করতে বলা হয়। এ ক্ষেত্রে ২০১৬-১৭, ২০১৫-১৬ ও ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বৃত্তি প্রস্তুতের কথা জানানো হয়। কিন্তু ১৭ মার্চ থেকে করোনায় ক্যাম্পাস ছুটি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারেনি।
পরে গত মার্চে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা চেয়ে স্ব-স্ব বিভাগে নোটিস পাঠায় কর্তৃপক্ষ। বিভাগ কর্তৃক তালিকা পাঠানো ও আবেদন শেষ হলে তা পর্যবেক্ষণ শেষে গত বৃহস্পতিবার মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে টাকা পাঠানো হয়। তবে শিক্ষার্থীদের সিন্ডিকেট অনুমোদিত টাকা দেয়া হয়নি। বরং আগের হিসাবে টাকা দেয়া হয়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, প্রথম বর্ষের টাকা চার বছর পর পেলাম। পরের বর্ষগুলোর টাকা হয়তো দেখে যেতে পারব না। তারপরও আবার টাকা এক-তৃতীয়াংশ কম দেয়া হয়েছে। এ সামান্য বৃত্তি পেতে আবার ব্যাংকে ৫০০ টাকা জমা দিতে হয়।
হৃদয় পাল নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ১ হাজার ৬৩২ টাকা পেয়েছি। ৩ বছর পরেও ৮০০ টাকা কম দিয়েছে।
এ বিষয়ে বৃত্তি শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার ইনামুল কবির বলেন, এবার আগের নিয়মে টাকা দেয়া হয়েছে। নতুন করে বাড়ানোর পর এটি এখনো কার্যকর হয়নি। পরবর্তী সেশন থেকে কার্যকর হবে। তবে এবার বিভাগগুলোতে ভুলবশত নতুন কার্যকর হওয়ার নোটিসটি পাঠানো হয়েছে। যার কারণে শিক্ষার্থীরা ভুল তথ্য পেয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখার প্রধান এ টি এম এমদাদুল আলম বলেন, প্রশাসন যে টাকা দেবে একাডেমিক শাখা সে টাকা শিক্ষার্থীদের অবশ্যই দেবে। এ বিষয়ে খোঁজ নেব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়