ম্যান ইউতে ফিরলেন রোনালদো

আগের সংবাদ

চেনা উইকেটে অচেনা নিউজিল্যান্ড

পরের সংবাদ

শুষ্ক মৌসুমে হ্রদের পানি ব্যবহার করেন দুই হাজার কৃষক : সীতাকুণ্ডের ছোট দারোগারহাট পর্যটকদের পদভারে মুখরিত

প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম (সীতাকুণ্ড) প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ড উপজেলার ২নং বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের ছোট দারোগারহাট জাতীয় উদ্যান অসংখ্য পর্যটক ও দর্শনার্থীর পদভারে মুখর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর মাধুর্যে অপার সমৃদ্ধি ও জীববৈচিত্র্যে ভরপুর জাতীয় উদ্যানের সহ¯্রধারায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে পর্যটকদের আনাগোনা। তাদের কাছে সহস্রধারা ঝরনাসহ জাতীয় উদ্যানকে আরো আকর্ষণীয় করতে বন বিভাগের (ইউএসএইড) ক্রেল প্রকল্পের আওতায় নেয়া হয়েছে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প। এদিকে শুষ্ক মৌসুমে হ্রদের পানি দুই হাজার কৃষক কৃষিকাজে ব্যবহার করেন। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়াও নির্মাণ করা হয়েছে পিকনিক স্পট, বিশ্রামাগার ও টয়লেট। উপজেলার ২নং বারৈয়াঢালা ইউনিয়নস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ছোট দারোগার হাটের পূর্ব দিকে পাহাড়ে সহস্রধারা ঝরনা। ছোট দারোগার হাট থেকে পূর্ব দিকে রেললাইন অতিক্রম করে পাহাড়ি দুর্গম পথ হেঁটে প্রায় আড়াই কিলোমিটার পাড়ি দিলেই দেখা দেবে সহস্রধারা প্রকল্পের বাঁধ। গাছগাছালির অপরূপ দৃশ্য আর পাখির কলকাকলিতে মুখরিত বাঁধের সৌন্দর্যে সব ক্লান্তি যেন মুহূর্তে দূর হয়ে যায়। বাঁধের বাম পাশে গাছগাছালিতে ঢাকা হাজার বছরের পুরনো লাবণ্য মন্দির। ডান পাশে পানি ব্যবস্থাপনা সমিতি ও সিএমসির অফিস। বাঁধের উপরে উঠলে দেখা যাবে তিন দিকে পাহাড়ঘেরা বিশাল হ্রদ। মূলত সহস্রধারা ঝরনার পানি আটকে রাখতে সৃষ্টি করা হয়েছে এ কৃত্রিম হ্রদ। ঝরনার শীতল পানিতে নিজেকে ভিজিয়ে নেয়ার পাশাপাশি সহস্রধারার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করেন আগত পর্যটক ও দর্শনার্থীরা।
জাতীয় উদ্যান ব্যবস্থাপনা কমিটির অফিস সূত্রে জানা যায়, হ্রদের পানি পর্যটকদের আনন্দ দেয়া ছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে প্রায় দুই হাজার কৃষক এ পানি কৃষিকাজে ব্যবহার করেন। হ্রদে রয়েছে হস্তচালিত দুটি নৌকা। চারপাশে পাহাড়ের সবুজ-শ্যামল পরিবেশ সহস্রধারাকে করেছে নয়নাভিরাম।
স্থানীয় বাসিন্দা ইখতেয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, সহস্রধারা আমাদের গর্ব, হ্রদটি এতই সুন্দর নিজের চোখে না দেখে বাইরে থেকে কেউ কল্পনাই করতে পারবে না। একই কথা জানান, সম্প্রতি পরিদর্শনে আসা সীতাকুণ্ডে বাড়বকুণ্ডের ব্যবসায়ী কাজী মো. হানিফ ও গোলাবাড়িয়ার বাসিন্দা এস এম ইকরাম খান এবং দক্ষিণ ইদিলপুর থেকে আগত পর্যটক আসলাম উদ্দিন।
সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দিদারুল আলম এপোলো জানান, পাহাড় আর সমুদ্র বরাবরই আকৃষ্ট করে ভ্রমণপ্রেমীদের। সীতাকুণ্ড উপজেলা পাহাড় আর সমুদ্রে অপরূপ। নয়নাভিরাম সহস্রধারা ছাড়াও সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ পাহাড়, বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক, আকিলপুর ও গুলিয়াখালী সিবিচের মতো দৃষ্টিনন্দন স্পটগুলো প্রতিনিয়ত আকৃষ্ট করছে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের। সীতাকুণ্ডকে দেশ-বিদেশে মর্যাদার আসনে তুলে ধরতে পর্যটন স্পটগুলোর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনি আরো জানান, পর্যাপ্ত সরকারি সহযোগিতা পেলে সীতাকুণ্ডের পর্যটন স্পটগুলো আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়