ম্যান ইউতে ফিরলেন রোনালদো

আগের সংবাদ

চেনা উইকেটে অচেনা নিউজিল্যান্ড

পরের সংবাদ

পৌরবাসীর প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি : রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস মেয়র, মঠবাড়িয়া পৌরসভা

প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. জাহিদ উদ্দিন পলাশ, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) থেকে : ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত মঠবাড়িয়া পৌরসভায় প্রথম রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে প্রশাসক নিয়োজিত হন উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি একেএম সেলিম মিয়া। ১৯৯৯ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম পৌর নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সহসভাপতি বর্তমানে যিনি সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন আলহাজ রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস। তার নেতৃত্বেই মঠবাড়িয়া পৌরসভা তৃতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। ২০০৪ সালে বিরোধী দলে থেকেও হামলা মামলার মধ্য দিয়ে তিনিই দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়ারম্যান পদ বাতিল করে মেয়র উপাধি দিলে তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ২০১০ সালের নির্বাচনে তিনি তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও বর্ধিত সীমানা নিয়ে মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে মামলা থাকার কারণে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হয়নি। ফলে তিনি টানা একুশ বছর মঠবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মঠবাড়িয়া পৌরসভাটি ৪ বর্গ কিলোমিটার বর্ধিত অংশ নিয়ে প্রায় ৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত। পৌরসভার জনসংখ্যা ৪৯ হাজার ১৭৫ জন। ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৬৭৩ জন। এর মধ্যে নারী ৮ হাজার ২০৫ ও পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ৪৬৮ জন। দীর্ঘ ২১ বছর ধরে পৌরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে কতটা সফল তিনি এমন প্রশ্নের জবাবে এ প্রতিবেদককে মেয়র ফেরদৌস বলেন, মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনে তিনি সফল। কারণ পৌরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। অনেকেই এই পৌরসভার নানা বিষয় নিয়ে সমালোচনা করেছেন, বিরোধিতাও করেছেন। পৌরবাসীর প্রধান সমস্যা পানি তা এখন জনগণ পাচ্ছে। ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এডিবির সহায়তায় পৌরসভায় পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও এম এস পি নগর উন্নয়ন প্রকল্পসহ পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তা, ড্রেন নির্মাণ, স্ট্রিট লাইট, সৌর বিদ্যুতায়নসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ চলমান রয়েছে।
পৌরসভা নিয়ে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে মেয়র বলেন, মঠবাড়িয়া পৌরসভাকে মাদকমুক্ত আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তিনি দাবি করে বলেন, প্রত্যাশিত

উন্নয়নের অন্তত ৭০ ভাগ সম্পন্ন করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন ও বিনোদনের জন্য যেমন শিশুপার্ক, ইকোপার্ক, মিনি চিড়িয়াখানা নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা আছে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা মানুষের বিনোদনের জন্য খুবই প্রয়োজন। একটি শিশুপার্ক গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
দৃষ্টিনন্দন কাজ হিসেবে যেমন পুরনো শহীদ মিনার ভেঙে নতুন আদলে শহীদ মিনার করা হয়েছে। বৈশ্বিক করোনা মহামারি ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে পৌরবাসীর পাশে থেকে কতটা সহযোগিতা করতে পেরেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি ও পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে পৌরবাসীকে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষার জন্য ব্যাপক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং সরকার কর্তৃক আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা শতভাগ নিরপেক্ষভাবে কর্মহীন মানুষের মাঝে বণ্টন করা হয়েছে। পৌরশহরে যানজট নিরসনের লক্ষ্যে মাহিন্দ্রা ইজিবাইক, মিশুক, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল, রিকশা এসব যানবাহন রাস্তার ওপর থেকে সরিয়ে এক বা একাধিক স্ট্যান্ড নির্মাণ পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। এই প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, যথোপযুক্ত জায়গার অভাবে স্ট্যান্ড নির্মাণ করা যায়নি। তবে চেষ্টা চলছে একটি সরকারি জায়গা লিজ নিয়ে অতি দ্রুত এসব যানবাহনের জন্য স্ট্যান্ড নির্মাণ করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সাপ্তাহিক হাটের দিনে মূল শহরের মধ্যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যানবাহন প্রবেশ নিষিদ্ধ করে আবার তা শিথিল করছেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন এ আদেশ বলবৎ করা হবে। তিনি বলেন মুজিববর্ষসহ সরকারের দেয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নে সচেষ্ট ছিলাম ও আছি। সেই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, একটি পৌরসভা অনেকটাই জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলে। করোনা মহামারিতে গত দেড় বছরে পৌরসভার আয় অনেক কমে গেছে। এ বছর মাইকিং করেও বাসস্ট্যান্ড ও দ্বিচক্রযানের স্ট্যান্ড ইজারা দিতে পারিনি। ব্যবসায়ীদের দোকানই যেখানে বন্ধ সেখানে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করবেন কিভাবে। তাই কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন ভাতা দিতেও হিমসিম খেতে হচ্ছে।
পৌর নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কোনো চিকিৎসক নেই- এ ব্যাপারে কি পদক্ষেপ নিয়েছেন জানতে চাইলে মেয়র বলেন, টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। চিকিৎসক পাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়