রাজীব দেব রায় রাজু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে : সাত রংয়ের চায়ের কথা শুনেছেন সবাই। তাই বলে ২০৬ রকমের চা! বিষয়টি অবাক হওয়ার মতোই। বাস্তবিকই ২০৬ রকমের চা তৈরি করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন আশিক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে তার চায়ের দোকান। নাম ‘আশিক টি শপ’ শাহবাজপুর গ্রামের মৃত আলী হায়দার মিয়ার ছেলে আশিকুর রহমান। পাঁচ বোন আর দুই ভাই তারা। বোনদের সবাই বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট ভাইকে নিয়ে সামাল দেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বেশি দূর পড়াশোনা করেননি আশিক। মাত্র অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত।
১৫-১৬ বছর আগে শুরু করেন চায়ের ব্যবসা। প্রথমদিকে সাধারণ রং চা, দুধ চা বিক্রি করলেও ভাবতে থাকেন কী করে ব্যতিক্রম কিছু করা যায়। ধীরে ধীরে শুরু করেন বিভিন্ন রকম চা তৈরি। সেই ধারাবাহিকতায় এখন ২০৬ রকমের চা তৈরি করতে পারেন তিনি। তার মধ্যে ব্যাক টি, কিশমিশ চা, ডায়াবেটিক চা, অরেঞ্জ চা, মাল্টা ঝাল চা, চকলেট মালাই চা, লেমন হানি চা, রসুন চা, হরলিক্স চা, কাজু বাদাম চা, টক চা ইত্যাদি। পাঁচ টাকা থেকে শুরু করে ৮০ টাকা কাপ পর্যন্ত বিভিন্ন দামের চা রয়েছে। প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ কাপ চা বিক্রি হয় তার দোকানে। সেই হিসাবে আশিকের প্রতিদিন সর্বনিম্ন বিক্রি হয় ২ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা। আশিকের এই ব্যতিক্রম আয়োজন দেখতে আর চায়ের স্বাদ নিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিদিন লোকজন ছুটে আসছে শাহবাজপুর এলাকায়। নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ স্বাদ নিচ্ছেন চায়ের। আশিক জানান, চায়ের বিভিন্ন উপকরণ অনলাইনে কিনতে হয়। অনেক উপকরণ এলাকায় বিক্রি হয় না।
ব্যবসা করে ভালো আছেন তিনি। ক্রেতাদের সেবা দিতে সব সময় তিনি প্রস্তুত। সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকে আশিকের চায়ের দোকান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।