কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল দুই নারীর

আগের সংবাদ

শাড়িতেই এবার পকেট

পরের সংবাদ

সোনালি আঁশে স্বপ্ন বুনছেন চারঘাটের পাটচাষিরা

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর চারঘাটে সোনালি আঁশ পাটের বাম্পার ফলনে সোনালি স্বপ্ন বুনছেন উপজেলার কৃষকরা। ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি পাটের দাম বেশি পাওয়ায় খুশি উপজেলার পাটচাষিরা। অনুকূল আবহাওয়া ও উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সার্বক্ষণিক তদারকিতে পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে কৃষকরা উপজেলা প্রায় চার হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেন। অথচ গত বছর উপজেলায় পাট চাষ হয়েছিল ১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। অনুকূল আবহাওয়া ও উৎপাদিত পাটের দাম থাকায় কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। অধিকাংশ কৃষক ভারতীয় জাতের পাটের বীজ চাকা, ট্রাক্ট মার্কা বীজ বপন করছেন বলে জানান শলুয়া এক্সটেনশন অফিসার শামীম রেজা। তবে দেশীয় পাটের মধ্যে বিএডিসি বারি পাট চাষ করছেন বলে তিনি জানান।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, পাটের ভরা মৌসুমে উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই মুরুব্বি থেকে শুরু করে কিশোর-কিশোরী সবাই জমির পাট কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ জমি থেকে পাট কেটে মাথায় বহন করে পুকুর, পুষ্করিণী ও ডোবা-নালার কাছে বহন করছেন। কেউ-বা পাট জাগ দিচ্ছেন। কৃষকদের মুখে হাসি ফোটার পাশাপাশি সৃষ্টি হচ্ছে করোনায় কাজ হারানো স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সাময়িক কর্মসংস্থান। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি পাটের বাম্পার ফলন একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারবে বলে জানান শলুয়া গ্রামের পাটচাষি রফিকুল।
ধমহাটার অমিত কুমার সরকার বলেন, তিনি ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। এই তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে আনুমানিক ১৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘায় উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১০-১২ মণ পাট। প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে বর্তমান বাজারমূল্যে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। উপজেলার ঝিকরা এলাকার পাট ক্রেতা করিম জানান, বৈশ্বয়িকভাবে সুতার উৎপাদন কম হওয়ায় পাটের চাহিদা অস্বাভাবিক হাবে বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া দেশের চাহিদা মিটিয়েও কাঁচা পাট বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বেশি দাম দিয়ে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে পাট কিনছেন বলে তিনি জানান। ফলে কৃষকরা সরাসরি লাভবান হচ্ছেন বলেও তিনি জানান।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল্লাহ আহম্মদ জানান, ভালো বীজ ও পাট চাষের অনুকূল পরিবেশ থাকায় এ বছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। তাছাড়া পাট ব্যবসায়ীরা সরাসরি কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পাট কিনছে। যার ফলে সরাসরি কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন বলে তিনি জানান। এ রকম দাম থাকলে আগামীতে আরো বেশি পরিমাণ জমিতে কৃষকরা পাট চাষ করবেন বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়