জাসদের পাল্টা প্রশ্ন : ১৫ আগস্ট সেলিম মার্কিন দূতাবাসে কী করছিলেন

আগের সংবাদ

কারা এই আইএস-কে? আফগানিস্তানে সক্রিয় নৃশংসতম জঙ্গিগোষ্ঠীর কাবুলে হামলার দায় স্বীকার

পরের সংবাদ

ভুয়া নামে মাতৃত্বকালীন ভাতা তোলার অভিযোগ : দশমিনা

প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : দশমিনা উপজেলার ৫ নম্বর বহরমপুর ইউনিয়নে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেছেন বহরমপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগ মৃধা। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বহরমপুর ইউনিয়নে ২০ জনের নামে মাতৃত্বকালীন ভাতা অনুমোদন হয়। বৃহস্পতিবার ভাতা গ্রহণের শেষ কিস্তির টাকা সোনালী ব্যাংক দশমিনা শাখা থেকে উত্তোলন করে নেয়া হয়েছে। ২০ জন ভাতাভোগীর তালিকার মধ্যে ১৩ জনের ভোটার তালিকায় নাম খুঁজে পাওয়া গেছে, খুঁজে পাওয়া খোটার তালিকার মধ্যে মারুফা আক্তার বাউফলের দাশপাড়া ইউনিয়নের, দাশপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং ফাহাদ্দিছিনা দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার সরস্বতীপুর গ্রামের বাসিন্দা। ভাতা তালিকায় ৭ জনের নামের কোনো অস্তিত্ব ভোটার তালিকায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া ভাতাভোগী ১০ জনের নামের তালিকায় স্বামী বা পিতার নামের স্থলে (নাই) লেখা আছে। ভাতাভোগীদের ওই তালিকায় ৯ জনের নামের সামনে বহরমপুর ইউনিয়নের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সদস্য করিমজান বেগমের মোবাইল নম্বর এবং ৯ জনের নামের সামনে দশমিনা সদর ইউনিয়নের মহিলা সদস্য মাহিনুর বেগমের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। ভাতাপ্রাপ্ত সাহিদা বেগমের ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে দশমিনার বেতাগী ইউনিয়নের বাবুল ঢালী নামে এক ব্যক্তি ফোন রিসিভ করে বলেন, তার স্ত্রী বা পরিবারের কেউ মাতৃত্বকালীন ভাতা পান না। রাবেয়া বেগমের ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
বহরমপুর ইউনিয়নের সাবেক মহিলা সদস্য করিমজান বেগম বলেন, ভাতাভোগীদের ফোন নম্বর নেই, তাই আমার নম্বর দিয়েছে তারা। তিনি আরো বলেন, আজ ব্যাংকে উপস্থিত থেকে আমি ৯ জনের টাকা উত্তোলন করে তাদের বুঝিয়ে দিয়েছি। দশমিনা সদর ইউনিয়নের মহিলা সদস্য মাহিনুর বেগম বলেন, বহরমপুর ইউনিয়নের মাতৃত্বকালীন ভাতার তালিকায় তার ফোন নম্বর দেয়া হয়েছে সেটা তিনি জানেন না, এ ব্যাপারে তিনি আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান।
বহরমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান সোহাগ মৃধা বলেন, ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে ভাতার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, বিষয়টি বহরমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছেন, আগামী রবিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নিয়ে বসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল আমিন বলেন, বিষয়টি বহরমপুরের চেয়ারম্যান আমাকে অবহিত করেছেন, এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়