জাসদের পাল্টা প্রশ্ন : ১৫ আগস্ট সেলিম মার্কিন দূতাবাসে কী করছিলেন

আগের সংবাদ

কারা এই আইএস-কে? আফগানিস্তানে সক্রিয় নৃশংসতম জঙ্গিগোষ্ঠীর কাবুলে হামলার দায় স্বীকার

পরের সংবাদ

পুলিশের বিরুদ্ধে অপহরণ-মুক্তিপণ মামলা : আসামি পলাশ ও ৪ সাক্ষীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. দেলোয়ার হোসেন, দিনাজপুর থেকে : দিনাজপুরে সিআইডি পুলিশের নেতৃত্বে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার অন্যতম আসামি এবং ৪ সাক্ষী ১৬৪ ধারায় বিচারকের নিকট জবানবন্দি প্রদান করেছেন। এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মামলাটির সত্যতা পুলিশের তদন্তে ও বিচারকের নিকট প্রদত্ত ৪ প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রদান ও এক আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান জানান, এই চাঞ্চল্যকর মামলায় গত বুধবার রাত ৯টায় অন্যতম আসামি ফসিউল আলম পলাশ (৩৫) স্বেচ্ছায় বিচারকের নিকট ১৬৪ ধারায় ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এর আগে তদন্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান আসামি পলাশ ও মামলার প্রত্যক্ষদর্শী ৪ সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য বিচারকের নিকট আবেদন করেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বসু আসামি পলাশসহ জাহাঙ্গীর আলম (২৫) ও তার মা জহুরা বেগমের (৪৮) জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পুলিশের সূত্র জানায়, অপর ২ সাক্ষী কামরুল ইসলাম (৩০) ও আতাবুজ্জামান এর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এসব সাক্ষ্য গ্রহণের পর বিচারক তাদের নিজ জিম্মায় মুক্তি দেন।
এর আগে গত বুধবার মামলার ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ৫ জন গ্রেপ্তারকৃত ও ৫ জন পলাতকসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে চিরিরবন্দর থানায় অপহরণ, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, লুটপাট ও ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রংপুর সিআইডি জোনের একজন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, একজন এএসআই ও ২ জন কনস্টেবলসহ ৬ জন আসামির তালিকায় রয়েছে। এরা হলেন- সহকারী পুলিশ সুপার সারোয়ার কবির সোহাগ (৩৫), পুলিশের এএসআই মো. হাসিনুর রহমান (৪২), কনস্টেবল আহসানুল হক ফারুক (৩৮) ও কনস্টেবল হাবিবুর রহমান (৪০)। পলাতক আসামিরা হলেন- আরিফিন শাহ্, সোহেল হোসেন, রিয়াজ হোসেন, সুমন মিয়া ও জাহিদ হোসেন। তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য গত বুধবার রাত থেকেই ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, মামলাটির সত্যতা পুলিশের তদন্তে ও বিচারকের নিকট প্রদত্ত ৪ প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রদান ও এক আসামির স্বীকারোক্তিমূলক

জবানবন্দির পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই এ চাঞ্চল্যকর মামলার অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করা হবে। উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট সোমবার রাত ৮টায় দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দেরাই গ্রামের লুৎফর রহমানের বাড়িতে সিআইডি পুলিশ পরিচয়ে মামলার আসামিরা ওই বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, একটি মোটরসাইকেলসহ মামলার এজাহারকারী জাহাঙ্গীর আলম ও তার মা জহুরা বেগমকে অপহরণ করে এবং মোবাইল ফোনে তাদের পরিবারের নিকট মুক্তিপণ দাবি করে। গত মঙ্গলবার মুক্তিপণের টাকা নিতে এসে সিআইডি পুলিশের এএসপি সারোয়ার কবির সোহাগসহ ৫ জন গ্রেপ্তার হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়