জাসদের পাল্টা প্রশ্ন : ১৫ আগস্ট সেলিম মার্কিন দূতাবাসে কী করছিলেন

আগের সংবাদ

কারা এই আইএস-কে? আফগানিস্তানে সক্রিয় নৃশংসতম জঙ্গিগোষ্ঠীর কাবুলে হামলার দায় স্বীকার

পরের সংবাদ

নগরবাসীর এ দুর্ভোগের শেষ কোথায়?

প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

করোনার কারণে রাজধানীতে খোঁড়াখুঁড়ি কিছু সময় বন্ধ থাকলেও এখন আবার শুরু হয়েছে। উন্নয়নের নামে বিভিন্ন সংস্থা রাস্তা কাটার পর আর ঠিক না করে ফেলে রাখছে বছরের পর বছর। এতে করে নগরবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও যেন অসহায়। অথচ যে শহরে প্রায় ২ কোটি মানুষের বসবাস, সেখানে এ রকম কর্মকাণ্ড কতটা শোভনীয়। ঢাকা সিটি করপোরেশন মোটেও এ রকম কাণ্ডজ্ঞানহীন এমন কাজের দায় এড়াতে পারে না। গতকাল ভোরের কাগজে প্রকাশ- তেজগাঁও, মতিঝিল, বংশাল, ফকিরাপুল, এলিফেন্ট রোড, আগাসাদেক লেন, ফুলবাড়িয়াসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার সড়কে দেখা দিয়েছে চরম অব্যবস্থাপনা। মতিঝিলের প্রায় বেশিরভাগ সড়কই খুঁড়ে রাখা হয়েছে। গোপীবাগ, টিকাটুলী, কে এম দাস লেন, অভয় দাস লেন, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, ফকিরাপুল এলাকার সড়কগুলো কেটে রাখা হয়েছে। এসব সড়কের মাথায় কেটে রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। কয়েকটি স্থানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাকের চাকা পড়লে উল্টে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় জনদুর্ভোগের বিষয়টি গণমাধ্যমে বারবার আসছে। সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সাময়িক কিছু পদক্ষেপ নেয়া হলেও দুর্ভোগ অবসানে স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের উভয় অংশে বছরজুড়েই চলছে এমন অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ি। দিন, সপ্তাহ পেরিয়ে কয়েক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও এসব সড়ক চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে না। এসব সড়ক পেরিয়ে নিজ গন্তব্যে পৌঁছতে চালকের হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেক সময় গাড়ি বিকল হয়ে পড়ছে, ঘটছে দুর্ঘটনাও। এই দুর্ভোগের শেষ কোথায়? শোনা গেছে, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধে নীতিমালা তৈরি করছে সরকার। এই নীতিমালা অনুযায়ী, বর্ষাকালে বিশেষ করে মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বছরের ৫ মাস রাস্তা খনন করা যাবে না। দিনের বেলায় কোনো রাস্তা খোঁড়া বা কাটার কাজ করা যাবে না। অনুমতি ছাড়া খনন করা হলে মূল খরচের পাঁচগুণ হারে জরিমানা ফি আদায় করা হবে। সিটি করপোরেশনের অনুমতি সাপেক্ষে শুধু রাতের বেলা রাস্তায় যখন যানবাহন কম থাকে তখন খোঁড়াখুঁড়ি করতে হবে। আধুনিক যন্ত্রপাতি সমন্বয়ে অভিজ্ঞ ঠিকাদার দিয়ে খনন কাজ করতে হবে। অনুমতি প্রদান, খনন ও রাস্তা পুনর্বাসনের কাজ সর্বোচ্চ তদারকি করতে ওয়ানস্টপ সমন্বয় সেল গঠন করা হবে। নীতিমালা অনুযায়ী এসব বাস্তবায়ন হলে দুর্ভোগ লাঘব হতে পারে। তবে কী অজানায় তৈরি খসড়া নীতিমালাটির চূড়ান্ত অনুমোদন এখন ঝুলে আছে। আমরা চাই, নীতিমালাটি দ্রুত অনুমোদন হোক। তাহলে সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উন্নয়ন কাজের নামে যখন-তখন সড়ক খোঁড়া বন্ধ করবে। এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে তাদের সমন্বয় করতে হবে। একটি ব্যস্ত নগরীতে বছরজুড়ে যখন খুশি তখন সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি চলতে পারে না। এ প্রবণতা বন্ধ হওয়া জরুরি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়