ডুপ্লেক্স বাসায় অগ্নিকাণ্ডে দুই গৃহকর্মীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

খোঁড়াখুঁড়িতে জনদুর্ভোগ : লকডাউনে কাজ করলে এখন ভোগান্তি হতো না > জমানো পানিতে বাড়ছে এডিস মশা

পরের সংবাদ

হোটেল সোনারগাঁওয়ে সিবিএ নির্বাচন : সাত দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠনের নির্দেশ

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সাত দিনের মধ্যে রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেল সোনারগাঁওয়ের শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শ্রম অধিদপ্তর। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ইউনিয়নের বর্তমান কমিটি নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করায় গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা শ্রম দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক এ নির্দেশ দেন। এর আগে গত ২৮ মার্চ ২ জন শ্রম কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সাধারণ সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নাম ঘোষণা করা হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠনের বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখে ওই কমিটি।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁও হোটেলের শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরেই অসন্তোষ দেখা দেয়। ১৯৮৩ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি দুই বছরে স্বাভাবিকভাবেই ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। শুধু ১৯৯৬ সালে একটি মারামারির ঘটনায় ও ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে এর ব্যক্তিক্রম ঘটে। গত ৯ এপ্রিল বর্তমান কমিটিরও মেয়াদ শেষ হয়। নিয়মানুযায়ী, মেয়াদ শেষের এক মাস আগে বার্ষিক সাধারণ সভা করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হয়। কিন্তু সেটি না করে কমিটি নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নেয় বলে অভিযোগ ওঠে।
সূত্র জানায়, বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রথমে গত ৪ ফেব্রুয়ারি নোটিস দেয় কমিটি। ৪ মার্চ সভাটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগের রাতে নোটিসটি সরিয়ে ফেলা হয়। পরের দিন দুপুরে অনিবার্য কারণে সভা স্থগিতের ঘোষণা দেয়া হয়। গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া হঠাৎ সভা ও নির্বাচন কমিশন গঠন স্থগিতের কারণে ক্ষোভ দেখা দেয় অনেকের মধ্যে।
পরে শ্রম পরিচালকের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ মার্চ আবারো সভা আহ্বান করে ইউনিয়ন কমিটি। কিন্তু শ্রম দপ্তরের এক কর্মকর্তার সহায়তায় ওই সভাটিও পিছিয়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। শেষ পর্যন্ত ২৮ মার্চ শ্রম মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক নাজিম আহমেদ ও শ্রম কর্মকর্তা হাসান আসকারের উপস্থিতিতে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হোটেল সোনারগাঁওয়ের প্রায় ৩০০ শ্রমিক-কর্মচারী সদস্যের মধ্যে ১৪০ জন উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নাম ঘোষণা করা হয় এবং পরের দিন বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু পরের দিন পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠন না করে ১ এপ্রিল শ্রম ভবনে একটি সভা আহ্বান করা হয়। সেখানে ৩ এপ্রিল বর্ধিত সভা করার

সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ওই সভাও আহ্বান করেনি কমিটি। উল্টো ইউনিয়নের নোটিস বোর্ডে এক নোটিস ঝুলিয়ে দেয় যেখানে গত ২৮ মার্চের সভায় নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। এ পরিস্থিতিতে শ্রমিক-কর্মচারীদের অসন্তোষ বেড়ে যাওয়ায় গতকাল ঢাকা বিভাগের শ্রম পরিচালক চিঠি জারি করেন।
এ প্রসঙ্গে পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক ভোরের কাগজকে বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওই কমিটিকে ৭ দিনের সময় দেয়া হয়েছে। তারা এর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন কমিশন গঠন করে আমাদের জানাবে। এতে নির্বাচন নিয়ে দেখা দেয়া অসন্তোষের অবসান ঘটবে বলে আশা করছি। নির্বাচনে কোনো পক্ষকে বেআইনিভাবে সহায়তা করতে শ্রম মন্ত্রণালয়ের কেউ জড়িত নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়