ডুপ্লেক্স বাসায় অগ্নিকাণ্ডে দুই গৃহকর্মীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

খোঁড়াখুঁড়িতে জনদুর্ভোগ : লকডাউনে কাজ করলে এখন ভোগান্তি হতো না > জমানো পানিতে বাড়ছে এডিস মশা

পরের সংবাদ

সড়ক নিয়ে জটিলতায় পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জলাবদ্ধতায় শতাধিক পরিবারের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : শহরের পৌর এলাকার ভাদুঘরে সড়ক নিয়ে বিরোধের জের ধরে পানি চলাচলের পথ বন্ধ হওয়ায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই এলাকার ফাটা পুুকুরপাড় পশ্চিমপাড়ার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগ ও দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিলেট-চট্টগ্রাম হাইওয়ের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর ১নং মৌজায় বর্তমানে ম্যাপে ৭৫৭ দাগের মধ্যে রাস্তা ৪ ফুট প্রস্থ লম্বালম্বিভাবে ফাটা পুকুরপাড় হাইওয়ে রাস্তা থেকে পূর্ব পশ্চিমে রাস্তাটি অবস্থিত। ১৯৮৮ সালের প্রথমার্ধে জায়গাটি দিয়ে সবুজ প্রকল্প নামে ইরিগেশন পানির প্রকল্প কুরুলিয়া খাল থেকে পানি উত্তোলন করে ড্রেনেজের মাধ্যমে পানি নেয়া হতো। তবে বর্তমানে সেখানে জনবসতি হওয়ায় এখানে মাটি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়। এলাকার মো. বশির আহমদ খান, আইনাল মিয়া ও মুসলিম মিয়া জায়গাটির মালিক বলে দাবি করেছেন। এই সড়কটি দিয়েই চলাচল করতেন এলাকার লোকজন। তবে চলাচলের এই রাস্তাটি অধিকতর সরু থাকায় এলাকার বাসিন্দারা সড়কটি প্রশস্থ করতে নানা উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হন। মানুষের চলাচলের পথটি নিয়ে বহুবার সালিশ হলেও বিষয়টির কোনো সমাধান হয়নি।
ভুক্তভোগীরা জানান, সমস্যা সমাধান না হওয়ায় প্রায় দুমাস ধরে তাদের পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে। জলাবদ্ধতার পানি বাসাবাড়িতেও উঠে গেছে। এতে করে ডেঙ্গুর প্রকোপকালীন শঙ্কায় দিন কাটাতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী বশির আহমদ জানান, এটি এক সময় সেচ প্রকল্পের ড্রেন ছিল। দুপাশের জমি মালিকদের কাছ থেকে এই জায়গা নেয়া হয়েছিল। প্রকল্পটি বর্তমানে নেই। তবে ড্রেন দিয়ে এলাকাবাসীর পানি নিষ্কাশনসহ জমি চাষাবাদ করে থাকে। আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে পানি চলাচলের পাইপ দিয়ে পানি চলাচল স্বাভাবিক রেখে চলাচলের জন্য ব্যবস্থা করেছিলাম।
বশির আহমদ আরো দাবি করেন, স্থানীয় বাসিন্দা মো. জহির মিয়া, মো. মুজিবুর ও মাহতাব মিয়া রাস্তার ওপর বালি ফেলায় পানি নিষ্কাশনের পথটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, এলাকাবাসীর পানি নিষ্কাশনও হচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দা মাহতাব মিয়া বলেন, ভূমির ৪০ জন মালিক দলিল করে রাস্তা দিয়েছে। আমরা কোনো রাস্তা বন্ধ করি নাই এবং পানি চলাচল বন্ধ করি নাই। বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য বহুবার উদ্যোগ নেয়া হলেও তারা রাস্তার জন্য টাকা দাবি করছেন। ভূমি মালিকরা যার যার জায়গার সামনে ভরাট করায় চলতি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আদালতে মামলা চলমান। স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. আনোয়ার হোসাইন বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনলেও কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়