ডুপ্লেক্স বাসায় অগ্নিকাণ্ডে দুই গৃহকর্মীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

খোঁড়াখুঁড়িতে জনদুর্ভোগ : লকডাউনে কাজ করলে এখন ভোগান্তি হতো না > জমানো পানিতে বাড়ছে এডিস মশা

পরের সংবাদ

সিআইডি প্রধান : পরীমনিসহ ১৫ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুতই

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চিত্রনায়িকা পরীমনি, নজরুল ইসলাম রাজ, হেলেনা জাহাঙ্গীর, পিয়াসা, মৌ, জিসান ও মিশু হাসানদের বিরুদ্ধে হওয়া ১৫টি মামলা তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ইতোমধ্যেই আমরা তদন্ত কাজ প্রায় গুছিয়ে এনেছি। তবে কিছু বিষয়ের ফরেনসিক পরীক্ষা এখনো বাকি। সব তথ্য-উপাত্ত হাতে এলে আমরা ১ থেকে দেড় মাসের মধ্যেই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়া শুরু করতে পারব। এ ছাড়াও তদন্তের স্বার্থে ও নির্ভুল পুলিশি প্রতিবেদন দাখিলের প্রয়োজনেই পরীমনিকে কয়েক দফায় রিমান্ড চেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আর তদন্তের প্রয়োজনেই অনেককে ডাকা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদে। তবে আপাতত এখন ১৫ মামলায় আর কাউকেই জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন নেই।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব তথ্য জানান সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ১৫টি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পালন করছে সিআইডির বিভিন্ন ইউনিট। যদিও প্রত্যেকটি মামলার মোটিভ, গতি-প্রকৃতি আলাদা। এসব মামলার প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ যেমন সাক্ষী-আসামি জিজ্ঞাসাবাদ, আলামত ও তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের বিষয় আমরা প্রায় গুছিয়ে এনেছি। তবে মাদক মামলার ক্ষেত্রে ফরেনসিক ও ক্যামিকেল পরীক্ষার প্রয়োজন ছিল। সেগুলো আমরা করতে দিয়েছি। সেসব হাতে পেলেই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার কাজ শুরু করতে পারব। আশা করছি, আগামী ১ থেকে দেড় মাসের মধ্যে পুলিশি প্রতিবেদন দাখিল করা শুরু হবে। পরীমনি বা পিয়াসাদের বাসায় মাদক মজুত ও সংগ্রহ করার বিষয়ে কি ধরনের তথ্য পেয়েছে সিআইডি প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, মাদক মামলার আলামত তো পজিশনেই পাওয়া গেছে। সেগুলো আদৌ মাদক কিনা তা জানতেই ক্যামিকেল ও ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। জব্দ মাদকের উৎস সম্পর্ক কি জেনেছে সিআইডি? জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান বলেন, অনেকেই অনেক রকম তথ্য দিয়েছেন। কেউ বলেছেন, বিদেশ বা বিমানবন্দর থেকে কিনেছেন আবার কেউ নানা উপায়ে সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু যেখান থেকেই সংগ্রহ করা হোক না কেন, এসব মাদক অননুমোদিত উপায়ে সংগ্রহে রাখা বা মজুত রাখা আইনত অন্যায়।
আসামিদের বিরুদ্ধে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের তথ্য উপাত্ত বিষয়ে সিআইডি প্রধান বলেন, তদন্তে আমরা মানিলন্ডারিংয়ের তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করেছি। মানিলন্ডারিং মামলার ক্ষেত্রে দুটি পর্যায় থাকে। একটি যাচাই-বাছাই আরেকটি ইনকুয়ারি। আমরা প্রথম পর্যায়ে আছি। প্রায় ২২টি জায়গা থেকে রিপোর্ট পেতে হয়। তবে কিছু ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে তথ্য চেয়েছি। যা যাচাই-বাছাই চলছে। তবে তদন্তের স্বার্থে সব বলা সম্ভব হচ্ছে না।
পরীমনিকে কয়েক দফায় রিমান্ড নেয়ায় নাগরিক সমাজ বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। পরীমনিকে এভাবে জিজ্ঞাসাবাদের পেছনে যুক্তি কি ছিল জানতে চাইলে ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, পরীমনিকে প্রথম দফায় আমরা হেফাজতে (রিমান্ডে) নেইনি। তবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা ও তার বক্তব্য শোনা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসলে অভিযুক্ত কি বলে সেটা আগে জানতে চেয়েছে সিআইডি। তার কাছে মাদক কীভাবে এলো, কারা দিল বা কি উপায়ে এলো। সিআইডিতে থাকাকালীন এসব তথ্য জানার পর আমরা কিন্তু আর তার রিমান্ড চাইনি। কিন্তু তদন্ত ও যাচাই করতে গিয়ে দেখি পরীমনির দেয়া কিছু তথ্য মিথ্যে বা ভুল। তখন আমরা আদালতে আবারো রিমান্ড চেয়ে অনুরোধ করি। সিআইডি একটি বিশেষায়িত ইউনিট। আমরা কখনো দরকার না হলে আসামিকে রিমান্ডে চাই না।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবালের সঙ্গে পরীমনির ছবি স¤প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেছে। এই বিষয়ে সিআইডি তদন্ত করছে কিনা, এইচ বি এম ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন কিনা জানতে চাইলে সিআইডি প্রধান বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে যাকে প্রয়োজন তাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করি। এই পর্যন্ত মামলায় যাদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন ছিল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আপাতত ১৫ মামলায় কাউকে আর জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন নেই। পরবর্তী সময়ে যদি অন্য কোনো দিকে টার্ন নেয় তখন ডাকা হতে পারে। তবে আপাতত কাউকে ডাকা বা জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন দেখছি না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়