ডুপ্লেক্স বাসায় অগ্নিকাণ্ডে দুই গৃহকর্মীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

খোঁড়াখুঁড়িতে জনদুর্ভোগ : লকডাউনে কাজ করলে এখন ভোগান্তি হতো না > জমানো পানিতে বাড়ছে এডিস মশা

পরের সংবাদ

রাজস্থলীতে দুই সড়কে ভাগ্য খুলেছে কয়েকশ পরিবারের

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হারাধন কর্মকার, রাজস্থলী (রাঙ্গামাটি) থেকে : রাজস্থলী উপজেলার গাইন্দ্যা ইউনিয়নে পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্মিত দুটি রাস্তা স্থানীয়দের ভাগ্য খুলে দিয়েছে। এতে শত শত পরিবারের লোকজন দৈনিক চলাচল করতে পারছেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের বাস্তবায়নে নির্মিত পাইন্দংপাড়া থেকে শ্মশানঘাট যাত্রী ছাউনি তুরগুপাড়া পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন ও ইসলামপুর বালুমুড়া রাস্তা থেকে কেচিপাড়া হয়ে কমলছড়ি পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে মাটি কেটে চওড়া করে আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণ করে দেয়ায় ৭-৮টি পাড়ার শত শত পরিবার খুশি।
বালুমুড়া পাড়ার কৃষক অংসাইনু মারমা (৪৫) বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে পাড়া থেকে উপজেলা সদর, চদ্রঘোনা ও চট্টগ্রামে বিশেষ কাজসহ অসুস্থ রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে পাড়া থেকে পায়ে হেঁটে ৫ নম্বর ইসলামপুর বাজারে গিয়ে গাড়ির দেখা মিলত। রাস্তাগুলো ছিল ছোট। বর্তমান সরকার রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের বিশেষ উদ্যোগে মাটি কেটে রাস্তাগুলো চওড়া করে এবং উঁচু পাহাড় কেটে চলাচলের অনেক সুবিধা করে দিয়েছে। পাইন্দংপাড়া কারবারি মংসাক্যই মারমা বলেন, পাড়ার মানুষ এখন খুব খুশি। দুদিক থেকেই পাড়ার লোকজন আসা-যাওয়া করতে পারছেন। আমাদের পাড়াসহ আশপাশের স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে যাওয়া-আসা করে লেখাপড়ার সুফল ভোগ করতে পারছে। দুই বছর আগে এমন সুফল থেকে বঞ্চিত ছিল শত শত শিক্ষার্থী। শুধু তাই নয়, পাড়ার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সঠিক সময়ে পরিবহন করতে না পেরে মালের ন্যায্যমূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত ছিলেন। চিতাখোলা থেকে পাইন্দংপাড়ার যাতায়াতের জন্য মাটির কাঁচা রাস্তাটিও আরসিসি করা হলে এলাকাবাসী আরো উপকৃত হবেন বলে মনে করেন তিনি। মাহিন্দ্রচালক নুরুল আলম বলেন, দীর্ঘদিন পর বালুমুড়া থেকে পাইন্দংপাড়া এবং বালুমুড়া মারমাপাড়া যাত্রী ছাউনি পর্যন্ত অনেক শান্তিতে গাড়ি চালাতে পারছি। স্থানীয়রা উপকৃত হচ্ছেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উবাচ মারমা বলেন, রাজস্থলী উপজেলার আনাচে-কানাচে যেসব উন্নয়ন হয়েছে তা বর্তমান সরকারের আমলেই হয়েছে। তবে রাজস্থলীর প্রধান সড়ক থেকে পাইন্দংপাড়া ও বালুমুড়া থেকে কেচিপাড়া ও কমলছড়ি এবং রাবার বাগান হয়ে পাইদংপাড়া রাস্তার মাটি কেটে চওড়া করায় পাড়ার লোকজনের চলাচলের সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে। দুটি পাড়ায় দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে পড়–য়া শিক্ষার্থীরা গাইন্দ্যা, বাঙ্গালহালিয়া, রাজস্থলী, ইসলামপুর বিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখার সুযোগ ভোগ করতে পারছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়