ডুপ্লেক্স বাসায় অগ্নিকাণ্ডে দুই গৃহকর্মীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

খোঁড়াখুঁড়িতে জনদুর্ভোগ : লকডাউনে কাজ করলে এখন ভোগান্তি হতো না > জমানো পানিতে বাড়ছে এডিস মশা

পরের সংবাদ

ব্যাংকিং খাতে মন্দ ঋণ ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ছয় মাসে মোট খেলাপি ঋণ যেখানে ১০ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা বেড়েছে, সেখানে মন্দ ঋণ বেড়েছে ১১ হাজার ৩১ কোটি টাকা। শুধু পরিমাণের দিক থেকেই নয়, শতকরা হিসাবেও মন্দ মানের ঋণের অংশ বাড়ছে প্রতি বছর। বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণের ৮৯ শতাংশই মন্দমানের। এর পরিমাণ ৮৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে অবলোপন করা মন্দ ঋণ রয়েছে ৪৪ হাজার কোটি টাকা।
করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে ঋণগ্রহীতা ঋণের কিস্তি শোধ না করলেও খেলাপি করা যাবে না, ২০২০ সালজুড়ে এমন সুবিধা পেয়েছেন গ্রাহকরা। এতে করে গত বছরে ঋণের কিস্তি না দিয়েও নতুন করে কোনো ঋণখেলাপি হয়নি, যার কারণে ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণ কিছুটা কমে আসে। সেই সঙ্গে কমে আসে মন্দমানের খেলাপি ঋণও। চলতি বছর এ সুবিধা বহাল রাখা না হলেও সব ধরনের ঋণের কিস্তি ও সুদ পরিশোধের মেয়াদ বিভিন্ন হারে বাড়ানো হয়েছে। এর পরও খেলাপি ঋণের সঙ্গে মন্দমানের ঋণও বেড়েছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মন্দ ঋণ বাড়লে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতাও কমে যায়। ফলে বছর শেষে লভ্যাংশবঞ্চিত হন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। মন্দ ঋণ বৃদ্ধির জন্য বাছবিচার ছাড়া ঋণ অনুমোদন, ঋণ পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠনে ছাড় এবং সুশাসনের অভাবকে দায়ী করছেন তারা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মন্দ ঋণ বাড়লে ব্যাংকের দুই ধরনের ক্ষতি হয়। একটি হচ্ছে, ব্যাংকের বিনিয়োগের

ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব পড়ে, যা পরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে এই মানের ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন রাখতে হয়। আর এটা করতে গিয়ে সরাসরি চাপ পড়ে ওই প্রতিষ্ঠানের আয়ের ওপর। ব্যাংকগুলো ঋণ দেয়ার সময় যোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিবেচনায় রাখলে এই ঋণের পরিমাণ এমন হারে বাড়ত না।
এদিকে গত জুন মাস শেষে ১১টি বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রভিশন সংরক্ষণ বা নিরাপত্তা সঞ্চিতির ঘাটতিতে পড়েছে। এ ঘাটতির পরিমাণ ১৪ হাজার ৮৭৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রয়োজনীয় প্রভিশন রাখতে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা, বেসিক, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক এবং বেসরকারি খাতের বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। এছাড়া রয়েছে বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়