ডুপ্লেক্স বাসায় অগ্নিকাণ্ডে দুই গৃহকর্মীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

খোঁড়াখুঁড়িতে জনদুর্ভোগ : লকডাউনে কাজ করলে এখন ভোগান্তি হতো না > জমানো পানিতে বাড়ছে এডিস মশা

পরের সংবাদ

বানারীপাড়ায় মানববন্ধন : সন্ধ্যা নদীর ভাঙন থেকে ২ বিদ্যালয় রক্ষার দাবি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি : বানারীপাড়ায় বিহারী লাল একাডেমি ও পূর্ব ইলুহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সন্ধ্যা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার দাবিতে আবারো মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিদ্যালয় সংলগ্ন নদীর তীব্র ভাঙন স্থানে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ইলুহার ইউপির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আলমগীর কবির, বিহারী লাল একাডেমির প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান, সাবেক প্রধান শিক্ষক বাবু অনিল চন্দ্র বাড়ৈ, সহকারী শিক্ষক নরেন্দ্র নাথ বাড়ৈ, পূর্ব ইলুহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন কুমার মিস্ত্রী, স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন, স্বরূপকাঠি উপজেলার সুঠিয়াকাঠি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রাজু প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে ইলুহার ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, এর আগেও বিদ্যালয় দুটি নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছিল।
এছাড়াও সংশ্লিষ্ট দপ্তরেও লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটি ভাঙন রোধে কোনো প্রকার কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। একই কথা বলেন, বিহারী লাল একাডেমির প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান ও পূর্ব ইলুহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হেসেন। তারাসহ এলাকাবাসী অভিযোগ করে আরো জানান, সন্ধ্যা নদী থেকে অব্যাহতভাবে বালু উত্তোলন করায় নদীর ভাঙন ক্রমেই আগ্রাসী হয়ে উঠছে। মানববন্ধনে উপস্থিত সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলমের কাছে বিদ্যালয় সংলগ্ন ভাঙন রোধের জন্য কার্যকরী টেকসই পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিদ্যালয় দুটি উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের পূর্ব ইলুহার গ্রামসহ পার্শ্ববতী কয়েকটি গ্রামের শিক্ষার আলোর বাতিঘর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ওই এলাকার সন্তানরা যখন প্রকৃত শিক্ষা থেকে অনেকাংশে বঞ্চিত হচ্ছিল, তখন পূর্ব ইলুহারের বাসিন্দা শম্ভু নাথ সরকারের ছেলে ভারতের শিক্ষা বিভাগে চাকরিরত বিহারী লাল সরকার ১৯১৯ সালের প্রথম দিকে তার পৈত্রিক সম্পত্তিতে নিজের নামে নাম করণ করে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেণ। ওই সময়ে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাদান বিহারী লাল একাডেমী থেকেই দেয়া হতো বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়