ডুপ্লেক্স বাসায় অগ্নিকাণ্ডে দুই গৃহকর্মীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

খোঁড়াখুঁড়িতে জনদুর্ভোগ : লকডাউনে কাজ করলে এখন ভোগান্তি হতো না > জমানো পানিতে বাড়ছে এডিস মশা

পরের সংবাদ

জাপান থেকে আসা শিশু : ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে দেখতে গেলেন মা-বাবা

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সন্তানদের নিজ জিম্মায় চেয়ে জাপানি নাগরিক মা চিকিৎসক নাকানো এরিকোর আদালতে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছে তার দুই মেয়ে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তাদের সেখানেই থাকতে হবে। এমন অবস্থায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মা এবং বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাবা তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন বলেও আদালত নির্দেশনা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে দুই মেয়ের সঙ্গে সময় কাটান তাদের মা ডা. এরিকো। এ সময় তিনি মেয়েদের জন্য রান্না করা খাবার ও জাপানি ভাষায় লেখা গল্পের বই উপহার হিসেবে নিয়ে যান।
তবে বাবা ইমরানের বিকালের পর থেকে সেখানে থাকার কথা থাকলেও তাকে গতকাল নির্ধারিত সময়ের আগেই উইমেন সাপোর্ট সেন্টারে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তিনিও দুই মেয়ের জন্য রান্নাবান্না করে নিয়ে এসেছিলেন। তবে এ সময় কথা হলে তিনি ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, স্বেচ্ছায় তার দুই মেয়ে বাবার কাছে এসেছে। সন্তানদের মা যে অভিযোগ করছেন, তা অসত্য।
গতকাল উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের অভ্যর্থনাকক্ষে বসে ইমরান শরীফ বলেন, জাপানের টোকিওতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনাকে কেন্দ্র করেই বিরোধের শুরু। তবে ইমরানের স্ত্রী নাকানো এরিকোর আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন, এটি অনেক সমস্যার একটি। একমাত্র সমস্যা নয়।
ইমরান জানান, তারা ২০০৮ সালে বিয়ে করেন। তাদের ১১, ১০ ও ৭ বছর বয়সী তিনটি মেয়ে রয়েছে। সপরিবার তারা টোকিওতেই ছিলেন। তবে হঠাৎ তিনি জানতে পারেন, তার স্ত্রী ও শ্বশুর টোকিওর বিলাসবহুল এলাকায় অ্যাপার্টমেন্ট কেনার পরিকল্পনা করছেন। ভালোভাবে সবকিছু বুঝে ওঠার আগেই তার স্ত্রী ও শ্বশুর অ্যাপার্টমেন্টটি কিনে ফেলেন। মালিক না হয়েও স্ত্রী ও শ্বশুরের চাপে বছর দেড়েক অ্যাপার্টমেন্টটির ঋণ শোধ করার পর তিনি অপারগতার কথা জানান। এতেই বাধে বিপত্তি। তবে তার সঙ্গে স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয়নি।
ইমরান বলেন, তিনি তার মেয়েকে সব কথা খুলে বলেন। এরপর ২১ জানুয়ারি স্কুল থেকে ফেরার পথে বড় দুই মেয়েকে নিয়ে জাপানেই অন্য একটি বাসায় ওঠেন। পরে পাসপোর্টের কাগজপত্র ঠিকঠাক করে ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় নিয়ে আসেন তাদের। ৩১ আগস্ট সন্তানসহ আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল ইমরান শরীফের। তার আগেই সিআইডি ২২ আগস্ট রাতে শিশুদের নিজেদের জিম্মায় নিয়ে আসে।
ইমরান বলেন, বারবার তিনি আলোচনায় বসতে চেয়েছেন। তার স্ত্রীই রাজি হননি। এখন একটা আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি সন্তানদের জন্য আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়