ডুপ্লেক্স বাসায় অগ্নিকাণ্ডে দুই গৃহকর্মীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

খোঁড়াখুঁড়িতে জনদুর্ভোগ : লকডাউনে কাজ করলে এখন ভোগান্তি হতো না > জমানো পানিতে বাড়ছে এডিস মশা

পরের সংবাদ

ক্ষেতলালের কাজীপাড়া এখন ‘পাখির গ্রাম’

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আখতারুজ্জামান তালুকদার, ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) থেকে : ক্ষেতলাল উপজেলার পৌরসভা এলাকার কাজীপাড়া গ্রামজুড়ে আশ্রয় নিয়েছে দুর্লভ প্রজাতির আবাসিক পাখি শামুকখৈল, বক, শালিক, মাছরাঙ্গা, রাতচোরা, কোকিলসহ হাজার হাজার পাখি। গ্রামের চতুর্দিকের গাছ ও বাঁশঝাড়ে আশ্রয় নেয়া এসব পাখি দেখে মনে হয় যেন পাখিদের অভয়ারণ্য। পাখি দেখতে আসেন প্রচুর দর্শনার্থী। জানা যায়, ২২-২৩ বছর আগে এ অঞ্চলের গাছে গাছে দেখা যেত হরেক রকম পাখি। দল বেঁধে উড়ত আকাশে। খাদ্যের সন্ধানে উড়ে বেড়াত মাঠে। দিন শেষে ফিরত নীড়ে। কিচিরমিচির শব্দে ভরে থাকত এলাকা। চিরচেনা সেই দৃশ্য আজ নেই। তবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী পাখিরা আবার গ্রামীণ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে। সরজমিন সেই প্রাকৃতিক অপূর্ব দৃশ্য দেখা গেল পৌর সদরের কাজীপাড়া গ্রামে। গ্রামের বট, পাইকর, তেঁতুল, আম, কাঁঠাল, নিম, জাম ও বাঁশঝাড়সহ বিভিন্ন গাছে আশ্রয় নিয়েছে দুর্লভ সব পাখি। শামুকখৈল, বিভিন্ন জাতের বক, চড়–ই, রাতচোরা, কোকিল, মাছরাঙ্গাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। গাছের ডালে পাতার নিচে তৈরি করেছে বাসা। পাখির বাসায় ছোট বাচ্চাকে আদর করে খাবার মুখে তুলে দিচ্ছে মা পাখিগুলো। পাখি দেখতে আসা কয়েকজন জানতে চাইলে বলেন, পাখি দেখে আমরা খুবই আনন্দিত। কয়েক বছর পর গ্রামে একসঙ্গে এত পাখি দেখলাম। মনে হচ্ছে যেন পাখিদেরই গ্রাম। তাদের দাবি, আমরা কোনো কিছু চাই না শুধু ‘পাখির গ্রাম’ হিসেবে পরিচিতি এবং সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা।
উপজেলার কানাইপুকুর গ্রামে ২০০৭ সাল থেকে আব্দুস সোবহানের পুকুর পাড়ের সাতটি গাছে আশ্রয় নিয়েছে ১০ হাজার পাখি শামুকখৈল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম আবু সুফিয়ান বলেন, পাখিদের অবাধ বিচরণ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই পাখি শিকার না করে তাদের নিরাপদে বসবাসের জন্য সুযোগ করে দিতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়