১৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি স্কুলছাত্র আব্দুর রহিমের

আগের সংবাদ

প্রত্যাবাসনে বাধা চীন-রাশিয়া! বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক মহলও নিষ্ক্রিয়

পরের সংবাদ

ওসি প্রদীপের নির্দেশে মেজর সিনহাকে গুলি করে লিয়াকত : আদালতে মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সৈয়দুল কাদের, কক্সবাজার থেকে : কক্সবাজারের টেকনাফের শামলাপুরে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাসেদ হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই মামলার বাদীসহ ৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার বাদী সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বলেন, সাবেক ওসি প্রদীপের নির্দেশে ইন্সপেক্টর লিয়াকতের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা নিহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে শুনেই ২০২০ সালের ৫ আগস্ট এই মামলা দায়ের করেছি। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি এডভোকেট ফরিদুল আলম, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জিয়া উদ্দিন ও এপিপি মোজাফ্ফর আহমদ এই সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বাদীকে জেরা করেন। এ সময় মামলার ১৫ আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের সেরেস্তাদার নুরুল কবির জানিয়েছেন, মামলার চার্জশিটভুক্ত ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জন সাক্ষীকে সমন দেয়া হয়েছে। ২৪ ও ২৫ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। তবে গতকাল সাক্ষী দেয়ার জন্য ৫ জন সাক্ষীকে সমন দেয়া

হলেও বাদীসহ ৩ জন সাক্ষী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত ছিলেন সিনহার সহযোগী সহিদুল ইসলাম ওরফে সিফাতসহ আরো একজন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার সন্তোষ বড়–য়া জানিয়েছেন, গত ২৭ জুন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল মামলাটির চার্জ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের আদেশ দিয়েছিলেন। এই মামলায় ৮৩ জন সাক্ষী রয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় র‌্যাব-১৫। হত্যাকাণ্ডের চার মাসের বেশি সময় পর তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে এবং ৮৩ জনকে সাক্ষী করে আলোচিত মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। চার্জশিটভুক্ত ১৫ জন আসামি কারাগারে রয়েছেন। তাদের মধ্যে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস, কনস্টেবল সাগর দেব ও রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়