মানুষের কল্যাণ করার জন্যই আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন : সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা

আগের সংবাদ

প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে বিভাজন! মাঠ প্রশাসনকে কেন্দ্রের বিশেষ নির্দেশনা : জানালেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব

পরের সংবাদ

ফুলবাড়ীতে মসজিদের টাকা আত্মসাতে পকেট কমিটি!

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. হারুন-উর-রশীদ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে : দিনাজপুরের ফুলবাড়ী কাঁটাবাড়ী বায়তুন নূর জামে মসজিদে কেয়ার টেকার কর্তৃক সাধারণ মুসল্লিদের মাসিক চাঁদা ও দানের টাকা আত্মসাৎ ও অন্যায়-অনিয়ম করে অপরাধ ধামাচাপা দিতে গোপন কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে।
চলমান কমিটির সদস্য মো. হারুন-উর-রশীদ ও মো. নেজাম উদ্দিন জানান, বর্তমান কমিটির মেয়াদকাল তিন বছর আগে শেষ হয়ে গেলেও কোনো আহ্বায়ক কমিটি অথবা নতুন কমিটি গঠন না করে এভাবেই চলছে। মসজিদের কেয়ারটেকার মো. আব্দুল হালিম নিজ ইচ্ছায় সাধারণ মুসল্লিদের কাছ থেকে মাসিক চাঁদা, এককালীন দান গ্রহণ করে নিজ দায়িত্বে রাখেন। সম্প্রতি মসজিদের নতুন কমিটি ও আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে মুসল্লিদের মাঝে আলোচনা এলে সবাই চলমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. হুমায়ুন কবির রুমুকে আয় ও ব্যয়ের হিসাব দিতে বলেন। সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি নিয়ে কেয়ারটেকার মো. আব্দুল হালিমের সঙ্গে কথা বলে আয়-ব্যয়ের রসিদ দেখতে চাইলে তিনি কৌশল করে এড়িয়ে যান। অপরদিকে কেয়ারটেকার আব্দুল হালিম তার সঙ্গে জড়িত কিছু কূটকৌশলীদের সঙ্গে নিয়ে বর্তমান কমিটির আয় ও ব্যয়ের হিসাব সাধারণ মুসল্লিদের কাছে উপস্থাপন না করার সুযোগ দিয়ে, সাধারণ মুসল্লি ও বর্তমান কমিটির সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে সেখানে নিজেই আহ্বায়ক হয়ে রাতের আঁধারে গোপনে ১০ বছর মেয়াদি নতুন কমিটি গঠন করেন। বিষয়টি লোকমুখে জানাজানি হয়ে গেলে ২০ আগস্ট শুক্রবার মসজিদে জুমার নামাজের আগে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির রুমু মুসল্লিদের বিষয়টি অবহিত করলে তাদের পরামর্শে আলহাজ মো. হাসান আলীকে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি বর্তমান কমিটির আয়-ব্যয়ের হিসাব নেবে এবং নতুন কমিটির রূপরেখা তৈরি করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিষয়ে অঘোষিত কেয়ারটেকার আব্দুল হালিম বলেন, বর্তমান কমিটির সভাপতি ডা. মো. আব্দুল কাইয়ুম বর্তমান কমিটি ভেঙে দিয়েছেন। আমাকে নতুন কমিটি গঠনের জন্য আহ্বায়ক করে তিন সদস্য আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দিয়েছেন সে কারণে আমি নতুন কমিটি গঠন করেছি। বিদায় সভাপতি কি কোনো আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দিতে পারেন অথবা সাধারণ মুসল্লিদের মতামত ছাড়া কোনো আহ্বায়ক কমিটি গঠন করতে পারেন- এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল হালিম কোনো উত্তর দেননি। বর্তমানে কেয়ারটেকারের এমন হটকারী কর্মকাণ্ডে এলাকার মানুষ ও মুসল্লিদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। অবিলম্বে তাকে মসজিদের সব ধরনের দায়িত্ব থেকে অপসারণের মতামত দেন স্থানীয় মুসল্লিরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়