মানুষের কল্যাণ করার জন্যই আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন : সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা

আগের সংবাদ

প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে বিভাজন! মাঠ প্রশাসনকে কেন্দ্রের বিশেষ নির্দেশনা : জানালেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব

পরের সংবাদ

নীলফামারীর বুড়ি তিস্তা সেচ প্রকল্প : এক দশক পর ফের চালু

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নীলফামারী শহর প্রতিনিধি : অবশেষে এক দশক পর চালু হয়েছে দেশের প্রথম সেচ প্রকল্প নীলফামারীর বুড়ি তিস্তা। বৃষ্টি অথবা প্রাকৃতিক পানির অভাবে যখন কৃষকরা জমিতে হাল চাষ দিতে পারছিলেন না তখনই আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে এ প্রকল্পের পানি। পুকুর ভরা পানিতে ভিজেছে কৃষকের হৃদয়। পড়েছে আমন চারা লাগানোর ধুম। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি আমন মৌসুমে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা মূল্যের ১৬ হাজার টন ধান উৎপাদন হতে পারে। গত এক দশক কমান্ড এরিয়ায় সেচ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ৬০ হাজার টন খাদ্যশস্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন কৃষকরা। যার বাজারমূল্য ১৩২ কোটি টাকা। নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এক যুগ পর সংস্কার করা হয় বুড়ি তিস্তা সেচ প্রকল্পের ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রধান খাল ও ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ চারটি শাখা খাল। এসব খালের পানি ৫৭টি আউটলেট মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্নভাবে জমিতে সরবরাহ পাওয়ায় দূর হয়েছে পানির মহাসংকট।
জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার সাত ইউনিয়নের অনাবাদি জমিতে ফসল ফলাতে ’৬০-এর দশকে নির্মাণ করা হয় বুড়ি তিস্তা সেচ প্রকল্প। ১৯৬৮ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সেচ সুবিধা পান কৃষকরা। ২০১০ সালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যারাজের উজানে এক হাজার ২১৭ একরের জলাধারটি মৎস্য চাষের জন্য একটি সংস্থাকে লিজ দেয়ায় বন্ধ হয়ে যায় সেচ কার্যক্রম। এতে কমান্ড এরিয়ায় বন্ধ হয়ে যায় আমন, ইরি, বোরো ধান, গম, ভুট্টাসহ শাকসবজি চাষাবাদ। এ সংক্রান্ত উচ্চ আদালতে চলমান থাকা মামলাটি ২০১৮ সালে খারিজ হয়ে যায়।
নীলফামারী বুড়ি তিস্তা পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি প্রভাষক শফিক সাদিক বলেন, ভরা বর্ষা মৌসুমে টানা খরায় কমান্ড এরিয়ার পতিত পড়ে থাকা প্রায় আট হাজার একর জমি প্রকল্পের পানিতে ভরে উঠেছে। আমন চারা রোপণ আর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারী ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রায় আট হাজার একর জমিতে সেচ দিতে জলঢাকা উপজেলার কালীগঞ্জে বুড়ি তিস্তা নদীর উপর ষাটের দশকে নির্মিত ব্যারাজ ১৯৬৮ সাল থেকে শুরু করে সেচ কার্যক্রম।
২০১০ সাল পর্যন্ত কমান্ড এরিয়ার কৃষকরা সারা বছর ভোগ করতেন সেচ সুবিধা। মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে এ সুবিধা। অবশেষে ২০১৮ সালে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। এবার রোপা আমন মৌসুমে কমান্ড এরিয়ার জমিতে চলছে সেচ কার্যক্রাম। চলতি আমন মৌসুমে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা মূল্যের ১৬ হাজার টন ধান উৎপাদন হতে পারে। গত এক দশক সেচ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ৬০ হাজার টন খাদ্যশস্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন কৃষকরা। যার বাজারমূল্য ১৩২ কোটি টাকা।
বরাদ্দ পেলে সেচ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে জলাধার খননসহ সেচ নেটওয়ার্কের সব নালা সংস্কার করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়