অভিনন্দন জানাল প্রজ্ঞা : রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কারের অযোগ্য তামাক কোম্পানি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি গায়েব, তদারকি নেই : গণপরিবহন, দোকান, কাঁচাবাজার, বিনোদন কেন্দ্রে চলাচল স্বাভাবিক

পরের সংবাদ

৯ মার্চ : তল্লাশি ফাঁড়ি

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পরাধীন ব্রিটিশ-ভারত থেকে পাকিস্তানের কালো অধ্যায় পেরিয়ে জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের। এই মহান অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের মোড় ঘোরানো নানা ঘটনা, যার কারিগর হিসেবে কেউ আখ্যায়িত হয়েছেন নায়কের অভিধায়; কেউবা আবির্ভূত হয়েছেন খলনায়কের চরিত্রে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে সেসব ঘটনা ও তার নায়ক-খলনায়কদের কার কি ভূমিকা, তাই নিয়েই অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গ্রন্থ ‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’। সম্প্রতি ভোরের কাগজ প্রকাশন থেকে বের হয়েছে বইটি। এ বই থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন কিছু অংশ তুলে ধরা হচ্ছে ভোরের কাগজের পাঠকদের জন্য।
বাংলাদেশের বাইরে যাতে ধন সম্পদ না যায় সে জন্য আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবী এবং ছাত্ররা ঢাকার বিভিন্ন অংশে তল্লাশি ফাঁড়ি বসাল। তল্লাশি করার অজুহাতে তারা অনেকের কাছ থেকে টাকা পয়সা এবং অন্যান্য জিনিসপত্র বাংলাদেশের নামে হস্তগত করল। অন্যদিকে রংপুরের লালমনিরহাটে এক দল উন্মত্ত জনতা একটি ট্রেন থামিয়ে অনেক ক্ষতি করে। রাজনৈতিক কারণে ট্রেনের কিছু যাত্রীকে হয়রানি এবং মারপিটও করা হয়। শহরের বিভিন্ন এলাকায় অধিবাসীদের আওয়ামী লীগ কর্মীরা

আক্রমণও করেছিল। রাজশাহীর সিটি টাউন হলে এদিন একটা স্বাধীন পতাকা উত্তোলন করা হয়।
লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় সাংবাদিক কেনিথ ক্লার্কসের পাঠানো একটি বিবরণ ১৯৭১ সালের ৯ মার্চ প্রকাশিত হয়। তিনি বলেন, খবরে প্রকাশ যে রবিবার ৭ মার্চ রাতে যখন শেখ মুজিবুর রহমান প্রদেশকে বিচ্ছিন্নতাবাদের শেষ প্রান্তে এনে ফেলেছিলেন তখন ঢাকা সম্পূর্ণভাবে অরাজকতার কবলে গিয়ে পড়েছিল। ওই পত্রিকায় আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিব, তার আন্দোলনকে স্বাধীনতা আন্দোলন বলে নাম দিয়েছিলেন। তিনি জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে সহযোগিতা করার জন্য এমন সব শর্ত আরোপ করেন যা প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব ছিল না। এ পত্রিকায় শেখ মুজিবুর রহমানের আর একটি নির্দেশেরও উল্লেখ ছিল। নির্দেশটি ছিল গ্রামে গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতাদের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা।

১০ মার্চ : বন্দর অচল
আওয়ামী লীগ ঘোষণা করল যে, ব্যাংকের শাখাগুলোর কাজ বন্ধ থাকবে এবং শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশের বাইরে বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনো রকম সহযোগিতা করবেন না। কুমিল্লায় চা বাগানে গোলযোগ ও সন্ত্রাসের খবর পাওয়া গেল।

১২ মার্চ : সামরিক ট্রাকে আক্রমণ
১১-১২ মার্চ রাতে বরিশালের জেল ভেঙে কিছু কয়েদি পালিয়ে যায়। বগুড়ার জেল ভেঙে সাতজন কয়েদি পালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। কুমিল্লায় ৩০০ কয়েদি পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে দুজন কয়েদি নিহত ও ১৮ জন আহত হয়।
মুক্তিফ্রন্ট এবং আধা সামরিক সংস্থাগুলো প্রদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। মুক্তিফ্রন্টের পক্ষে সাইক্লোস্টাইল্ড এবং হাতে লেখা প্রচারপত্র গোপনে বিলি করা হলো। এ সবেরই উদ্দেশ্য ছিল জাতি বিদ্বেষ সৃষ্টি করা এবং হিংসাত্মক কার্যকলাপে উসকানি দান। ৫টি সামরিক ট্রাকের একটি দল রেশন নেবার জন্য কুমিল্লা থেকে সিলেট যাওয়ার পথে সশস্ত্র জনতা কর্তৃক আক্রান্ত হয়।

আগামীকাল প্রকাশিত হবে
‘১৩ মার্চ : বাংলাদেশের পতাকা’
‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’- বইটি পাওয়া যাচ্ছে ভোরের কাগজ প্রকাশনে (ভোরের কাগজ কার্যালয়, ৭০ শহীদ সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা)। এছাড়া নযড়ৎবৎশধমড়লঢ়ৎড়শধংযধহ.পড়স থেকেও সংগ্রহ করা যাবে। 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়