অভিনন্দন জানাল প্রজ্ঞা : রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কারের অযোগ্য তামাক কোম্পানি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি গায়েব, তদারকি নেই : গণপরিবহন, দোকান, কাঁচাবাজার, বিনোদন কেন্দ্রে চলাচল স্বাভাবিক

পরের সংবাদ

আফগানিস্তানে সরকার গঠনের তোড়জোর : কাবুলে পৌঁছেই আলোচনা শুরু করেছেন মোল্লা আবদুল গনি বারাদার

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আফগানিস্তানের দখল তালেবানের হাতে যাওয়ার পর দেশটিতে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করতে কাবুলে পৌঁছেছেন সংগঠনটির সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদার। রাজধানী শহরটিতে তিনি তালেবানের অন্য নেতা এবং রাজনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। খবর এএফপি।
খবরে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার তালেবান সহপ্রতিষ্ঠাতা বারাদার কাবুলে পৌঁছেছেন।
প্রায় ১০ বছর নির্বাসন শেষে গত মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহা থেকে আফগানিস্তানে ফেরেন তালেবানের উপপ্রধান মোল্লা আবদুল গনি বারাদার।
বিবিসির তথ্য অনুসারে, দোহায় তালেবান বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে, সে কাজে জড়িত ছিলেন তালেবানের রাজনৈতিক শাখার প্রধান বারাদার। গত মঙ্গলবার দেশে ফিরে তিনি প্রথমে কান্দাহারে যান।
তালেবানের এক জ্যেষ্ঠ নেতা এএফপিকে বলেন, সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করতে গত মঙ্গলবার তালেবানের উপপ্রধান মোল্লা আবদুল গনি বারাদার দোহা থেকে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কান্দাহারে ফিরে যান। তিনি তালেবান নেতা এবং রাজনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
গতকাল শনিবার তিনি রাজধানী কাবুলে যান। গত রবিবার কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এরপর থেকে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করেছে তারা। এজন্য দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তালেবান নেতারা। এরপর বারাদার কাবুলে ফেরেন।
তালেবানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আব্দুল গনি বারাদার এখন সবার অংশগ্রহণে একটি সরকার গঠনের উদ্দেশ্যে জিহাদি নেতা ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বারাদার কাতারের দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক অফিসের প্রধান। আন্তর্জাতিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য এতদিন তিনি সেখানে অবস্থান করছিলেন।
আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর তালেবানের যেসব শীর্ষস্থানীয় নেতা এখন দেশটির ভেতরে অবস্থান করছেন মোল্লাহ বারাদার তাদের একজন। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন আফগান সরকারে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
যে চার ব্যক্তি ১৯৯৪ সালে তালেবান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বারাদার তাদের মধ্যে একজন। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানে ২০০১ সালে তালেবান সরকার উৎখাত হওয়ার পর তিনি এই গ্রুপটির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে ওঠেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়