সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক লীগের মানববন্ধন

আগের সংবাদ

ঝুঁকিতে উদারপন্থি ও নারীরা : শরিয়া আইনে দেশ চালানোর ঘোষণা তালেবান প্রশাসনের, তালেবানবিরোধী বিক্ষোভ বিভিন্ন শহরে

পরের সংবাদ

পরিচ্ছন্ন দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক পৌরসভা গড়ে তুলতে চাই : গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন মেয়র, শেরপুর পৌরসভা

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

খোরশেদ আলম, শেরপুর থেকে : শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন এক সাক্ষাৎকারে ভোরের কাগজকে বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী শেরপুর পৌরসভাকে পরিচ্ছন্ন, সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন একটি আধুনিক পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে আসছি। তিনি বলেন, পৌরশহরের রাস্তাঘাট আগে দিনে একবার পরিষ্কার করা হতো। এখন দিনে-রাতে দুবার পরিষ্কার করা হয়। ইতোপূর্বে পৌরসভায় ময়লা-আবর্জনা ফেলার মতো কোনো ডাস্টবিন ছিল না। শেরপুর জেলা জজের বাসার পেছনে খোলা আকাশের নিচে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমা হতো। এতে দুর্গন্ধে শহরে মানুষ প্রবেশ করতে পারত না। এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আধুনিক একটি ডাস্টবিন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে। ঐতিহ্যবাহী এ পৌরসভায় কোনো বাস টার্মিনাল ছিল না। ইতোমধ্যেই পৌর শহরের অষ্টমীতলায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক দৃষ্টিনন্দন বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। শিগগিরই বাস টার্মিনালটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। পৌর শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ সড়কে বাতি রয়েছে। বাকি ২০ ভাগ সড়কবাতির কাজ চলমান রয়েছে।
১৫০ বছর আগে ইংরেজ শাসনামলে ১৮৬৯ সালের ১ এপ্রিল এ ঐতিহ্যবাহী পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভাটির আয়তন ২৪.৭৫ বর্গকিলোমিটার। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৪১টি মহল্লায় হিন্দু-মুসলিম, গারো, হাজংসহ বিভিন্ন জাতি-গোত্রের ও বিভিন্ন পেশার লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। নির্মাতা চারুর নামানুসারে পৌরভবনটি প্রথমে চারু ভবন নামে পরিচিত লাভ করে। পরে পৌরবাসীর জীবনযাত্রা ও সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন পৌরভবন নির্মাণ করা হয়। আর শেরপুরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পুরনো ভবনটি

একটি জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়।
এ পৌর এলাকায় রাস্তা রয়েছে ২২৩ কিলোমিটার। ইতোমধ্যেই ইউজিআইআইপি প্রকল্পের আওতায় ৫০ কিলোমিটার আরসিসি ও বিসিসি রাস্তাসহ ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে ২২ কিলোমিটার। শহরের বেশ কিছু ড্রেন নির্মাণকাজ বাকি রয়েছে। তা নির্মাণে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পৌরবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ৭ তলা ভিত্তির ওপর সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি তিনতলা কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণকাজও প্রায় শেষের পথে। হোল্ডিং ট্যাক্স, মার্টেক ভাড়া, বাজারের আয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাত থেকে এ পৌরসভার আয় হয় ১২ কোটি টাকা। এ টাকায় পৌরবাসীর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। পৌরবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন সরকারি বরাদ্দে সে অর্থ পায় না পৌরসভাটি। ফলে অনেক ক্ষেত্রে পৌরসভার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। পৌর শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে খোয়ারপাড় মোড়ে দৃষ্টিনন্দন শাপলা চত্বর নির্মাণসহ শহরের বিভিন্ন মোড়ে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। নির্মাণ করা হয়েছে মসজিদ, মন্দির ও গির্জা।
পৌর মেয়র বলেন, ২০২১ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় শেরপুর পৌরবাসী আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এ বিজয় আমার নয়, এ বিজয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমার পৌরবাসীর। মেয়র শেরপুরের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। তিনি একজন শিল্পপতি ও এলাকাবাসীর কাছে দানবীর হিসেবে পরিচিত। তিনি নম্র স্বভাব ও নৈতিকতার একজন মানুষ। তার এ সাদাসিধে আচরণের জন্য শেরপুর পৌরবাসী তৃতীয়বারের মতো তাকে মেয়র নির্বাচিত করেন।
আওয়ামী পরিবারের সদস্য গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন বলেন, আমি জনগণের একজন সেবক, এটাই আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি যেন আমার এলাকার মানুষের সেবা করে যেতে পারি। সৃষ্টিকর্তা যেন আমাকে সে তৌফিক দেন। গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন বলেন, বর্তমানে পৌরসভার অসমাপ্ত কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী শেরপুর পৌরসভাকে পরিচ্ছন্ন দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক একটি পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে আসছি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের শেরপুর পৌরসভার প্রতি একটু সুদৃষ্টি দিলে পরিচ্ছন্ন দৃষ্টিনন্দন একটি আধুনিক পৌরসভা গড়ে তোলা সহজতর হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়